সোমবার (২৫ মে) সর্বশেষ করোনা প্রতিবেদনে করোনা পজেটিভ আসলো ২জনের।বান্দরবান সদরের মেঘলায় অবস্থিত লুম্বিনী গার্মেন্টস কর্মী আনন্দ এর, যার বয়স ৩৮ বছর। তার সাথে আরো একজন মেঘলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকা রুম মেট থাকলেও তিনি অবাদে কর্মস্থলে যান। আনন্দের বাড়ি কক্সবাজারের ঈদগড়ে। গত ১০ মে আনন্দ লুম্বিনীতে যোগ দেয়।
অপর আক্রান্তের মধ্যে আছে স্বর্ণ মন্দির এলাকার ধনঞ্জয় দেবনাথ, তার বয়স ৩৮ বছর। তার বাড়ী চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। সে কুহালং ইউনিয়ন রুট দিয়ে ব্যবসার জন্য বান্দরবানে প্রবেশ করে। সে করোনা পজেটিভ হওয়ার খবর পেয়ে স্বর্ণ মন্দির এলাকা থেকে আজ বিকালে পালিয়ে যায়। আর এই দুইজনের মাধ্যমে জেলা সদরে এই প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা: অংসুই প্রু দুই জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করে মুঠো ফোনে বলেন, এক জনের শরীরে জ্বর দেখা দেয়ায় সদর হাসপাতালে আসলে তার রক্ত সংগ্রহ করি অপরজন শরীর খারাপ লাগার পর সদর হাসপাতালে নিজে এসে করোনা পরিক্ষা করতে বলায় রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়। আজকে তাদের দুই জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, প্রথমধাপে করোনা শনাক্ত হলেও তাদের আরো কয়েক বার রক্ত পরিক্ষা করতে হবে।এমনও হয় প্রথম বার করোনা শনাক্ত হলেও দ্বিতীয়বারে করোনা নেগেটিভ আসে। আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
এদিকে লুম্বিনী শ্রমিক আক্রান্ত হবার সাথে সাথে বান্দরবানের একমাত্র গার্মেন্টসটিকে লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন।বান্দরবান এর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এবিষয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য লুম্বিনীর ফ্যাক্টরি তে কর্মরত ৫৪১( কম /বেশী ) জন শ্রমিকের হোম কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করে স্বাস্থ্যবিধি এবং অন্যদের সাথে শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে অর্থাৎ অন্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে। পর্যায়ক্রমে সকলের অথবা প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা আক্রান্ত কিনা পরীক্ষা করা হবে।