খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আরও ৫০ লাখ পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা করে দেয়ার জন্য সারাদেশে তালিকা তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে (বোরো এবং আমন)। এছাড়া প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদিত হবে। সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে দেশে খাদ্যের কোন সমস্যা হবে না, বরং উদ্বৃত্ত থাকবে। শনিবার দুপুরে মন্ত্রীর মিন্টো রোডের সরকারী বাসভবন থেকে নওগাঁ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে জেলার করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহ, আম উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আশা করা যাচ্ছে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে (বোরো এবং আমন)। এছাড়া প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদিত হবে। এই উৎপাদন দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত থাকবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারীভাবে অন্য যে কোন বছরের তুলনায় এবার বেশি ধান চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় বড় সহায়ক হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবেলা করে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। শস্য সংগ্রহে যাতে কোন অনিয়ম না হয় সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখতে বলেন মন্ত্রী। এছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে। যদি কোন কৃষক তার টিকেট মধ্যস্বত্বভোগীদের নিকট বিক্রি করে তাহলে সেই কৃষকের কার্ড বাতিল করা হবে এবং সে সমস্ত মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।