নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্য সন্দেহে এইচ এম সানাউল্লাহ সবুজ নামের এই যুবককে বুধবার রাতে ঢাকার মিরপুর থেকে আটক করে র্যাব।
করেনাভাইরাস সংক্রমণ ও চিকিৎসা নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগের মামলায় হিযবুত তাহরীর নেতা এই এম সানাউল্লাহ সবুজকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম ইয়াসমিন আরা বৃহস্পতিবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার রাত আড়াইটার দিকে মিরপুর ৬ নম্বর এলাকা থেকে সানাউল্লাহকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেন র্যাব-৪ এর সদস্যরা। পরে তার বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৭ সালে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর সময় এর আগেও একবার সানাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে জেল থেকে বেরিয়ে পুনরায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে তৎপর হয়ে ওঠেন তিনি।
আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন কমর্কর্তা এসআই মো. আসাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়নি। পরে তাকে রিমান্ডে পাওয়ার জন্য আবেদন করা হবে।
আদালতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে জানান তিনি।
সানাউল্লাহকে কারাগারে আটকে রাখার আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে হিযবুত তাহরীরের লিফলেট, বিজ্ঞপ্তি, বিভিন্ন লেখা, মতবাদ ও বইয়ের সফট কপি উদ্ধার করা হয়।
“উদ্ধারকৃত মোবাইল ও ল্যাপটপ ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অ্যাপ, ইমো, মেসেঞ্জার ও ইউটিউবের মাধ্যমে হিযবুত তাহরীরের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন সানাউল্লাহ। অনলাইনে হিযবুত তাহরীরের অন্য সদস্যদের সঙ্গে পরিচিতি, যোগাযোগ রক্ষা ও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি। এছাড়া উদ্ধারকৃত লিফলেটে বর্তমান সরকারবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য, মিথ্যা অপপ্রচার, বিভিন্ন ধরনের গুজব, সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস নিয়ে মিথ্যা তথ্য রয়েছে।”
সানাউল্লাহ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়।