আজ পহেলা বৈশাখ বা পয়লা বৈশাখ। বাংলা বছরের বা বাংলা সনের প্রথম দিন। এ দিনটি বাংলাদেশে নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। আবহমান কাল থেকেই আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে বাংলা বছরের ০১ তারিখ বা পহেলা বৈশাখ। এই দিন টি বাঙালির একটি সাবর্জনীন লোকউৎসব। অতীতের সকল ভুল ভ্রান্তি ও ব্যর্থতার গ্লানি মুছে দিয়ে নতুন বছর কে স্বাগত জানিয়ে থাকে। মূলত নতুন বছরকে সুখের এবং আনন্দের হবে ভেবেই প্রতি বছর অত্যন্ত বর্নাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়ে থাকে। এই দিন সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। পহেলা বৈশাখে বাংলাদেশ তথা পশ্চিম বঙের মানুষ জন পান্তা ইলিশ খেয়েই আনন্দের মধ্যে দিয়েই দিন টির সূচনা করে থাকে। ঢাকা সহ সারা দেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর মাধ্যমেই বর্নাঢ্য আয়োজনে পালিত হতো পহেলা বৈশাখ। এই নবর্বষকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশে এমনকি গ্রাম গঞ্জে বিশাল আয়োজনে মেলা জমতো। আর এই মেলার নাম হলো বৈশাখী মেলা। এটি মূলত বাংলার সার্বজনীন লোকজ মেলা। বাংলা নবর্বষকে অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জের মানুষ সহ পুরো দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতো। এই দিন টি বাঙালির প্রাণের মেলায় রুপ নিতো।
আজ এমন এক সময় পহেলা বৈশাখ এসেছে যখন পুরো বিশ্ব মরণ ব্যধি কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত। বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবী এক কঠিন দুর্যোগময় সময় পার করছে। প্রতি দিন মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে পুরো বিশ্বজুড়ে। যেখানে এখন বেঁচে থাকার লড়াই চলছে প্রতিনিয়ত যেখানে উৎসব পালন নিতান্তই কল্পনা মাত্র। এই বৈশ্বিক মহামারী দুর্যোগ শেষ হলে বেঁচে থাকলে উৎসব পালন করা যাবে। অতএব কোনভাবেই কেউ ঘরের বাইরে বের হবেন না। ঘরেই পালন করুন এবারের বৈশাখের প্রথম দিন টি। আর যার যার সৃষ্টিকর্তাকে বেশী বেশী করে স্মরণ করুন এবং তার কাছেই আশ্রয় প্রার্থণা করুন, সাহায্য প্রার্থনা করুন। অচিরেই যেন এই মহামারী কাটিয়ে সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারি। সবাই মিলে আবার আগের মতোই আনন্দ উৎসবে সবার পাশে সবাই দাঁড়াতে পারি।
বাংলা নবর্বষ ১৪২৭ যেন হয় করোনা মুক্ত সুন্দর একটি পৃথিবী,এটাই এখন আমার প্রাণের আকুতি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আর ঘরেই থাকুন। এটাই হচ্ছে এখন আপনার এবং আপনার পরিবারের তথা সমগ্র জাতির নিরাপদ থাকার প্রথম উপায়। ঘরে থাকি নিজে নিরাপদ থাকি এবং অন্যকেও নিরাপদ রাখি।
লেখক ঃ সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি ও পুলিশ কর্মকর্তা।