প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করে দেশ বিদেশের হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু পর্যটক।কিন্তু গত ১২ ই মার্চ বৃহস্পতিবার বান্দরবানে ভ্রমণে আসে যশোর জেলা বেশ কয়েক জন পর্যটক। তারা বান্দরবানের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে বান্দরবানের বালাঘাটাস্থ স্বর্ণমন্দিরের গিয়ে চারপাশের বিভিন্ন সৌন্দর্য অবলোকন করার একপর্যায়ে যশোর থেকে আসা এএসএম সাইদুর রহিম ও তার বন্ধু শহিদুর রহমান র্স্বণমন্দির একটি মূর্তিতে হাত দেয়ার কারণে তাদের দুইজন কে র্স্বণমন্দিরে থাকা পচো র্মামার ও চান্দাভা ভান্তের নেতৃত্বে একটি স্থানে নিয়ে প্রচুর মারধর করা হয়।এক পর্যায়ে তাদের সাথে যশোর থেকে আসা পর্যটকরা আত্মরক্ষার জন্য স্বর্ণ মন্দিরে নিয়োজিত পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে তাদের উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম থেকে আসা এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমরা সবাই একসাথে মন্দির ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন হঠাৎ দেখি দুইজনকে ৪-৫জন লাল পোশাকধারী(ভান্তে) নিয়ে যাচ্ছে। এসময় তাদের ২জনকে চড়-থাপ্পড় মারতে মারতে এক স্থানে নিয়ে যায় এটা দেখে আমরা আর বেশিক্ষণ সেখানে অবস্থান না করে চলে আসলাম।
স্বর্ণমন্দিরে পর্যটকদের উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন প্রায় সময়ই স্বর্ণমন্দিরে পর্যটকদের উপর এমন অন্যায় অত্যাচার চালানো হয়। বলতে গেলে বান্দরবানের র্স্বণ মন্দির এখন আর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পড়ে না এটা এখন উপঞঞা জোত মহাথেরো(উচহ্লা ভান্তে) এর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পরিণত হয়েছে।
এসময় বান্দরবানের একজন স্থানীয় টুরিস্ট গাইড বলেন, বিশেষ করে আমি সব সময় বিভিন্ন পর্যটক নিয়ে এখানে সেখানে ঘুরতে যাই । কিন্তু প্রায় সব সময় স্বর্ণমন্দির ও রাম জাদিতে এমন অনাচার করে কর্তৃপক্ষ। টিকেটে মূল্য রাখার পাশাপাশি জুতার রাখার জন্য আলাদা টিকেট, লুঙ্গি ভাড়া দেয়া সহ নানা উপায়ে পর্যটকদের কাছ থেকে গড়ে ৮০-১০ টাকা তারা আদায় করে। আমার মতে এমন হলে ভবিষ্যতে বান্দরবানের আর পর্যটক আসবে না।