নিরপরাধ বাঙালিদের গনগ্রেপ্তার বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল


প্রকাশের সময় :৭ জুন, ২০১৭ ৮:১৫ : অপরাহ্ণ 593 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-লংগদুর মটর সাইকেল চালক ‘নুরুল ইসলাম নয়ন’ কে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক হত্যার বিচার দাবী ও সেই উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনের পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানোর মিথ্যা মামলায় নিরপরাদ বাঙ্গালীদের গনগ্রেপ্তার বন্ধের দাবীতে ০৭/০৬/২০১৭ ইং খ্রি. রোজ বুধবার পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের করা পালন করা হয়।সকাল আনুমানিক ১০.০০ঘটিকায় সদর উপজেলা পরিষদ হতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হতে চাইলে দফায় দফায় পুলিশের বাধার কারনে উপজেলা মাঠেই সংক্ষিপ্ত মানববন্ধের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাবেক কেন্দ্রিয় যুগ্ন সম্পাদক ও সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মো: সাহাজুল ইসলাম সজল বলেন,পার্বত্য অঞ্চলে একের এক বাঙালি কে উপজাতি রা কয়েকদিন পর পর হত্যা করছে কিন্তু কোন সুবিচার আমরা পাচ্ছিনা।বিচারের দাবীতে যখনী আমরা আন্দোলন জোরদার করি তখনই উপজাতি সন্ত্রাসীরা লংগদুর মত অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মাধ্যমে বাঙালি হত্যার বিচার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে নয়নের পরিবারকে ক্ষতিপূরন পূর্বক প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করে পাহাড়কে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করার জোর দাবী জানান।আগামী ১১/০৬/২০১৭ ইং তারিখের মধ্যে নয়ন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বাঙালিদেরকে গনগ্রেপ্তার বন্ধ করা না হলে ১২ তারিখেও হরতাল পালন করা হবে।জেলা সভাপতি ভা:মাঈন উদ্দীন তার বক্তব্যে বলেন গত ০১/০৬/১৭ তারিখে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দুইজন উপজাতি ভাড়ায় নিয়ে নয়ন কে হত্যা করে তার ক্ষত বিক্ষত লাশ দিঘীনালা রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।মহালছড়ির ছাদিকুলের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই সন্ত্রাসীরা নয়ন কে হত্যা হত্যা করে বুঝিয়ে দিলেন পার্বত্য অঞ্চলে বাঙালিদের হত্যা করলে কোন বিচার হয়না।তিনি আরো বলেন দু:খের বিষয় হলো মাটিরাঙ্গার আজিজুল শান্ত, পানছড়ির হোসেন আলী,ভূয়াছড়ির শহীদুল,দীঘিনালার মুহাম্মদ আলী সহ গত ১০ বছরে ১২ জন বাঙালি মটর সাইকেল চালককে হত্যা করা হয়েছে গুম করা হয়েছে ৫ জন মটর সাইকেল চালককে।প্রশাসন উদ্ধার করতে পারেনী অপহৃত কাউকেই,বিচার হয়নী একটি হত্যাকান্ডেরও।নয়ন হত্যাকান্ডকেও দামাচাঁপা দিতেই উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন এর সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের ঘরের মূল্যবান সকল জিনিস পত্র ও লোকজনকে সড়িয়ে নিয়ে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ঘরে আগুন দেয়।যদি বাঙালিরা তাদের তাদের ঘরে আগুন দিয়ে থাকবে তাহলে সেখানে কোন হতাহত কেন হয়নী, কেন ঘরে কোন জিনিসপত্র ছিলনা?কেনইবা গাইবান্ধার আগুনের ছাবি ও নারায়নগঞ্চের বয়লার বিষ্পোরনের ছবি ছবি দিয়ে অপপ্রচার করা হলো যে ৩শ টি বাড়িতে বাঙালিরা আগুন দিয়েছে?এইভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে পার্বত্য অঞ্চলকে অশান্ত করে।এমন ইস্যু কাজে লাগিয়েই জাতীয় ও আন্তজার্তিক সব ধরনের সুবিধাতো তারা ভোগ করছে।কুড়ের ঘরের পরিবর্তে পাচ্ছে টিনের পাকা বাড়ি এইকারনে তো তাদের ঘর তারা পোড়ায় আর দায় চাপায় পার্বত্য বাঙলিদের উপর।জেলা সাধারন সম্পাদক এস এম মাসুম রানা বলেন নয়ন হত্যাকান্ড সহ অন্যসকল বাঙালিদের হত্যাকান্ডের বিচার ব্যবস্থা কে ধামাচাঁপা দেওয়ার যে অপরাজনীতি শুরু করছে তার প্রতিবাদে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ যখন আন্দোলন কর্মসূচি ডাক দিয়েছে তখনই উপজাতী সন্ত্রাসীরা নিজেদের ঘরে নিজেরা আগুন দিয়ে জাতিগত সংগাতের ইস্যু তৈরি করছে। আমরা সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই যে,লংগদুর ইস্যুও নিরপেক্ষ সমাধানের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত না করা পর্যন্ত নিরাপরাধ বাঙালিদের কে মামলা দিয়ে গনগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে।জেলা সাধারন সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন পাহাড় যখনি কিছুটা স্থিতিশীল পরিস্থিস্থি আসতে চায় তখনী উপজাতি সন্ত্রাসীরা একজন বাঙালীকে হত্যা করে পাহাড়কে আবার ও অশান্ত করে তোলে। কারন উপজাতি সন্ত্রাসীরা বুঝাতে চায় যে,তোরা কতগুলো হত্যাকান্ড নিয়ে আন্দোলন করবি আমরা তোদের শুধু লাশ উপহার দিব।আমরা শুধু আমার ভাইদের লাশই গুনতেছি কিন্তু কোন বিচার পাচ্ছিনা, এভাবে একতরফা বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু থাকলে একসময় সাধারন মানুষ আইন ও প্রশাসনের প্রতি আস্তা হারাবে।লংগদু ইস্যুতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রি জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।জেলা যুগ্ন সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম,জেলা সহ সংগঠনিক পারভেজ আহাম্মেদ,জেলা দপ্তর সম্পাদক মৃদুল বড়য়া, জেলা প্রচার সম্পাদক শাহীন আলম,দিঘীনালা উপজেলা শাখার সহ সভাপতি মনসুর আলম,সাধা.সম্পাদক আলামিন হোসেন ও সাংগঠনিক শামীম হোসেন।মাটিরাঙ্গা উপজেলা আহবায়ক মো:এস এম শাহ আলম,পানছড়ি উপজেলা আহবায়ক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।মহালছড়ি উপজেলা সাধারন সম্পাদক মো;জহুর আলী,মানিকছড়ি সভাপতি মো:মোক্তাদির ও সাধারন সম্পাদক সাহাবউদ্দীন এবং পৌর সভাপতি রাসেদুল ইসলাম সহ জেলা, উপজেলা,পৌর ও কলেজ শাখার অন্যন্য নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক ও প্রশাসন সহ সকলকে আহবান জানাচ্ছি আগামী দিনের সকল কর্মসূচিতে সহযোগীতা মূলক মনোভাব প্রদর্শন করার জন্য। আমাদের দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাব।

বিনীত নিবেদক:-ওমর ফারুক,সহ প্রচার সম্পাদক,পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!