দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির আগের দিন হাইকোর্টের মাজার গেট সংলগ্ন এলাকায় তিনটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিএনপি কর্মীরা।
জানা গেছে, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে একজন বিএনপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে হাইকমান্ডের নির্দেশে নেতাকর্মীরা হাইকোর্টের মাজার গেট সংলগ্ন এলাকায় তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। মূলত হাইকোর্টের সামনে আগুন লাগিয়ে বিচারকদের পরোক্ষভাবে হুমকি দিতে চেয়েছে বিএনপি। বিচার বিভাগের উপর প্রভাব বিস্তার করতেই বিএনপি পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে এই হামলার ঘটনায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি থেকে বিতাড়িত এক নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি সারাদেশে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি দেখাতে বিভিন্ন সহিংস পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তাই হাইকোর্টের সামনে মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে সরকারকে একটি বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছে বলেই মনে হচ্ছে। তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশ না থাকলে হাইকোর্টের সামনে আগুন দেয়ার মতো সাহসী কর্মী বিএনপিতে আছে বলে আমার মনে হয় না। তারেক রহমানই চাচ্ছেন খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে কর্মীরা আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি আবারো শুরু করুক।
এদিকে হাইকোর্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, বিএনপির ১০-১২ জন কর্মী বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পৌনে পাঁচটার মধ্যে হাইকোর্টের মাজার গেট, ঈদগাহ মাঠের গেট ও বার কাউন্সিলের গেটের সামনে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। যাবার সময় তারা ‘জিয়ার সৈনিক এক হও’ স্লোগান দিতে দিতে প্রেসক্লাবের দিকে চলে যায়।