পরিবারের অমতে ও অজান্তে মাত্র ৩ মাস আগে বিয়ে করেছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান রুবেল। আর মাত্র দুই মাসের মাথায় নতুন বধূকে তালাক দেন তিনি।
আর আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) তার নববধূ ফারজানা খানম রিনি যৌতুক দাবির অভিযোগে আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি পড়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষানবিস) (প্রটোকল অফিসার-২)।
আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে আগামী ২৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কাওসার আহম্মেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বাদী বলেন,মাসুদুর রহমান গত ২৯ নভেম্বর আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকি দেন তিনি।তিনি আমাকে ঘরে তুলে নেবেন না বলে জানান।আমি এর বিচার চাই।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়,বাদী ও আসামির মধ্যে দীর্ঘদিনের পরিচয় ও প্রেমের পরিণতি হিসেবে তাদের বিয়ে হয়।তারা পরিবারকে না জানিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন।আসামি বাদীকে বিয়ের কথা গোপন রাখতে বলেন এবং পরে পারিবারিকভাবে সবার সম্মতিক্রমে সামাজিক মর্যাদা দিয়ে বাদীকে ঘরে তুলবেন বলে জানান। দাম্পত্য জীবনে বাদী আসামির আসল রূপ বুঝতে পারেন।এক মাস ধরে আসামির সরকারি চাকরি ও সামাজিক মর্যাদা অনুসারে আসামি বাদীর বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক বাবদ নগদ ৫০ লাখ টাকা, একটি ফ্ল্যাট,একটি নতুন প্রাইভেটকার ও ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এনে দিতে বলেন।
এর জন্য বাদীকে চাপ প্রয়োগ ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন।বাদীর পরিবারের যৌতুক দেয়ার ক্ষমতা নেই মর্মে জানিয়ে দিলে আসামি বাদীকে নিয়ে সংসার করবে না বলে জানান।মোটা অংকের টাকা নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করারও হুমকি দেন আসামি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রামে কর্মরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষানবিস) বলেন,তার (রিনি) সাথে আমার মিলছে না।তাই আমরা দুজনে পরামর্শ করে আইনগত ভাবে আলাদা হয়েছি।আমি গত ১৭ নভেম্বর তাকে তালাক দিয়েছি।এর আগে নোটিশ করেছি।
তিনি বলেন,আমি কেন যৌতুক চাইবো..? সে তালাকের বিষয়টি সে মেনে নিতে না পেরে আমাকে হুমকি দিয়েছিল দেখে নেয়ার।আর আজকে জানলাম আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। এটি শতভাগ মিথ্যা অভিযোগ।ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদুর রহমান বলেন,রিনি’র সাথে পরিচয়ের সুত্রে আমরা বিয়ে করেছিলাম।কিন্তু বিয়ের পর বুঝতে পারি তার সাথে আমার সংসার করা সম্ভব না।তার মানষিক নির্যাতনের আমার জীবন অসহ্য হয়ে উঠে।
তিনি আরো বলেন,মামলা করার জন্য আমার প্রতিপক্ষ কেউ হয়তো তাকে ইন্দন যোগাচ্ছে। পারিবরিক ভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাদের প্রতিপক্ষ রয়েছে।আমার বাবা রাজনীতি করেন। তার প্রতিপক্ষ কেউ সুযোগ নিয়ে রিনিকে দিয়ে এ মামলা করিয়েছে বলে মনে করেন মাসুদুর রহমান।
তথ্য সুত্রঃ-(পাঠক নিউজ,চট্টগ্রাম)