বান্দরবানে ক্যামলং পাড়া যুব সমবায় সমিতি লিঃ এর আয়োজনে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল-ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে “সিআরসি ষ্পেশাল ইভেন্ট শিক্ষা বিভাগের অভিযোগ নিস্পত্তিকরণ কর্মকর্তা (অনিক) এর সাথে সাধারণ সেবা গ্রহিতাদের সাথে ডায়ালগ সেশন” অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বান্দরবান বালাঘাটা কমিউনিটি রির্সোস সেন্টার এর সভা কক্ষে এই ডায়ালগ সেশন অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: ছিদ্দীকুর রহমান।বান্দরবান সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বান্দরবান জেলার সিআরসি সভাপতি জ্ঞানরঞ্জন চাকমা এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিস কাউন্সিল প্ল্যাটর্ফমস্ ফর ডায়ালগ প্রজেক্ট এর রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর (চট্টগ্রাম) সৈয়দা সবনবম মোস্তারী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্রিটিস কাউন্সিল বান্দরবান ডিস্ট্রিক ফ্যাসিলিটেটর মং শেনুক মারমা।এসময় হাফেজঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বান্দরবান পৌরসভার কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান খোকন,ক্যামলং পাড়া যুব সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি ছাশৈই প্রু মারমা,বান্দরবান পাড়া স্কুল ম্যানিজিং কমিটির সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর থুইচিং প্রু লুবু,অভিবাবক হিসেসে উপস্থিত ছিলেন মংহ্লা প্রু মারমা,আব্দুল জলিল প্রমুখ।
ডায়ালগ সেশনে বক্তারা বলেন,শিক্ষা বিভাগের অভিযোগ-প্রতিকার ব্যবস্থা,বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এবং অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা ও অংশীজনের অর্ন্তভুক্তি নিশ্চিত করণ কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগনের কাছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগনের অর্ন্তভূক্তি নিশ্চিত করাই হচ্ছে এই ডায়ালগ সেশনের মূল উদ্দেশ্য।প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কে যথা সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয়ের পাঠ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে শিখতে ও জানতে চায়।সুতরাং তাদের এই জ্ঞান আহরণের প্রতি শিক্ষকদের গুরুত্ব দিতে হবে।পাশাপাশি অভিবাবকদেরও আরো বেশী সচেতন হতে হবে।আপনাদের ছেলে-মেয়ে বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে যাচ্ছে কিনা,পড়ালেখার প্রতি তাদের মনযোগ আছে কিনা এই বিষয়গুলো কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।শুধু তাই নয় মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ে গিয়ে সন্তানের মেধা মনন বৃদ্ধি তে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করতে হবে এবং তাদের পরামর্শ নিয়ে সন্তান এর প্রতি যত্ন নিতে হবে।অভিবাবক সমাবেশ গুলো তে নিয়মিত অংশ নিয়ে সকলের সমন্বিত সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান উন্নত করার জন্য কার্যকর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার।বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে।আগামীতে শিক্ষার্থীদের আরও অনেক সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়ন এর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।সরকারের এসব উদ্যোগের সুফল তখনই আসবে যখন আমরা বিদ্যালয়ে একটি শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবো।