নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মবিরতি পালন করছে পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিকদের ধর্মঘটও। আর এই ধর্মঘটে পণ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়ে যাচ্ছে নিত্য পণ্যের দাম। সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীসহ সাধারণ ভোক্তারা। জানা গেছে, পণ্যবাহী গাড়িগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে না পারায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। যে অঞ্চলে যে পণ্যের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, সেই অঞ্চলেই উক্ত পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের চালের বড় বাজার কুষ্টিয়া, পাবনা এবং নওগাঁ। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে বাংলাদেশের অন্যান্য কোন প্রান্তে চাল পাঠাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। যার কারণে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় চালের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা।
এদিকে কর্মবিরতি পালনরত শ্রমিকরা জানান, নতুন সড়ক আইনের অনেকগুলি বিষয় সংস্কার না করলে তারা পরিবহন সেক্টরে কাজ করবেন না। বিশাল অংকের জরিমানা, শাস্তি আর অপমানজনক ঘাতক শব্দ মাথায় নিয়ে তারা গাড়ী চালাবেন না। আপত্তিকর বিষয়গুলির সংস্কার দাবী করেন তারা।
ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীরা বলেন, যাত্রীদের জিম্মি করে এভাবে অঘোষিতভাবে কর্মবিরতি পালন করা উচিত নয়। আগে থেকে ঘোষণা দিলে তারা বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারতেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।
এবিষয়ে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের একজন নেতা বলেন, শ্রমিকদের এ কর্মবিরতির সাথে ইউনিয়নের কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের এ ধরণের কোন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। আগামী ২১ তারিখের দিকে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি বৈঠক হবার কথা। তার আগে কোন কর্মসূচি পালন করা হবে না। তবে কেউ যদি স্বেচ্ছায় কাজে যোগ না দেয়, তাহলে তো আমাদের কিছু করার নাই।
এদিকে মেহেরপুর জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান জানান, বর্তমানে যে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন হয়েছে তাতে করে চালকরা আর গাড়ি চালাতে চাচ্ছেন না। নতুন আইনে দুর্ঘটনার কারণে একজন ড্রাইভার এর পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। এটার প্রতিবাদে শ্রমিকরা হঠাৎ করে গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেন।