চট্টগ্রামে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ালো মহানগর যুবলীগের দুটি পক্ষ।চট্টগ্রাম নগরের লালদিঘী মাঠে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের উপস্থিতিতে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন সংগঠনটির এই দুই পক্ষ।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সংঘর্ষের এই ঘটনায় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মোবারক আলীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,বিকেল ৪টার দিকে মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসেন যুবলীগ নেতা কাউন্সিলর মোবারক আলীর অনুসারীরা।মোবারকের উপস্থিতির বিষয়টি মাইকে না বলায় তার অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।এ সময় তারা চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু করেন।
তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ইট-পাটকেল নিক্ষেপে জড়িয়ে পড়েন মহানগর যুবলীগের সদস্য ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা।এতে কাউন্সিলর মোবারক আলীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
এ অবস্থায় বক্তব্য না রেখেই সভাস্থল ত্যাগ করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।তিনি মঞ্চে উপস্থিত যুবলীগের অন্য নেতাদের প্রতি বলেন,এটা তো বেয়াদবি।আমি এখানে থাকবো না।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান বলেন,মারামারিতে অন্তত ১০ জন সামান্য আহত হয়েছে।পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।যুবলীগের সভায় দুই পক্ষের মারামারিতে আহত ওয়ার্ড কমিশনার মোবারক আলী।
সভায় উপস্থিত থাকা চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও আজকের আলোচনা সভার মঞ্চ উপ কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন,দীর্ঘদিন পর যুবলীগের ব্যানারে একটি স্বত:স্ফূর্ত সমাবেশ হচ্ছিল।কিন্তু হঠাৎ করেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে একটি চিহ্নিত মহল।যুবলীগের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অনুপ্রবেশকারীরা মারামারিতে জড়িয়েছে বলে দাবি করেন যুবলীগের এ নেতা।