বিএনপির জেলা ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন চলছে। কিন্তু কমিটি গঠনে অনিয়ম ও ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে তৃণমূলে। এমন অনিয়ম ও অবমূল্যায়নের পুরো দায় বর্তাচ্ছে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপরে। ফলে তৃণমূল কর্মীরা তার ওপর ক্ষুব্ধ।
এ বিষয়ে কেউ সরাসরি কথা না বললেও নীরব প্রতিবাদ হিসেবে দল থেকে পদত্যাগ করছেন অনেকেই। পদত্যাগের মাধ্যমে মূলত বিএনপির হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।
সূত্রটি বলছে, জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ছাত্রদল, কৃষক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, তাঁতি দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের কমিটি গঠন করার আগে দলের হাইকমান্ড জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ওই আলোচনার ভিত্তিতেই জেলা কমিটিগুলো গঠন করা হতো। কিন্তু বর্তমান সেটা করা হচ্ছে না। আর সেটা না করে তারেক রহমান একক ক্ষমতায় এই কমিটিগুলো ঘোষণা করছেন। যা দলের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হচ্ছে। কারণ এর মাধ্যমে দলের ত্যাগী ও যোগ্য নেতারা বঞ্চিত হচ্ছেন এবং সুবিধাবাদীরা পদ-পদবী পাচ্ছে।
এর প্রতিবাদ হিসেবেই সিলেট ও মহানগর যুবদলের আহবায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির ৫ প্রভাবশালী নেতা পদত্যাগ করেছেন। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৮ বছর পর সিলেট যুবদলের কমিটি ঘোষণা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভুল বুঝিয়ে সুবিধাবাদী নেতারা এমন কমিটি করিয়েছেন। অথচ যারা মামলা-হামলা, দমন-পীড়ন উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন থেকে রাজপথে যুবদলের রাজনীতি করেছে, যারা এই দুঃসময়ে দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে তাদের কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি। সবকিছু জেনেও নিশ্চুপ হাইকমান্ড।
অপরদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের জন্য ইতিমধ্যে ৫টি কমিটি জমা দিয়েছে। এরমধ্যে থেকে তারেক রহমান একটি কমিটি অনুমোদন দেবেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের এক নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, ঢাবি ছাত্রদলের কোন নেতা যোগ্য আর কোন নেতা অযোগ্য, সেটা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানেন না। কারণ এই সংগঠনের সঙ্গে উনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আর ছাত্রদলের একটি সিন্ডিকেট এই সুযোগকে ব্যবহার করছে। এজন্য তারেক রহমানেরও দোষ আছে। কারণ উনি চাইলেই ছাত্রদলের সাবেক নেতারা ঢাবির কমিটি গঠনে সহযোগিতা করতে পারতেন। আর এটা করলে যোগ্য ও ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হতো না।
তৃণমূল নেতারা বলছেন, এমন অনুপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে বড় ফল ভোগ করতে হবে বিএনপিকে। যা অচিরেই প্রকাশ পাবে। এরইমধ্যে এসব ইস্যুতে পদত্যাগ সেই অবস্থারই বহিঃপ্রকাশ