আগামী ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সব ধরণের অনিয়ম ও দুর্নীতি রুখে দিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। সুচিকিৎসক গড়ে তুলতে ও জাতির মেধা বিকাশে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কাজ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চলছে অনলাইন তদারকিও।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সারাদেশে সরকারি ৩৬টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৪০৬৮টি। এ হিসাবে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রতি আসনে প্রায় ১৮ জন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের জন্য সারাদেশে মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মেডিকেল কোচিং বন্ধ রাখতে সতর্ক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যেই বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে গঠিত ভর্তি পরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এখন থেকে আর প্রেসে ছাপা হবে না। কম্পিউটারে বিশেষ ধরণের সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রশ্নপত্র তৈরি হবে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও প্রিন্ট দেয়ার সময় বাইরের কোনো লোক থাকবে না। শুধু প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটির হাতেগোনা চার-পাঁচজন লোক সে সময় উপস্থিত থাকবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আবেদনকারীর প্রত্যেকের জন্য এক সেট করে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হবে। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নকলমুক্ত ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়কে সব ধরণের সহযোগিতা করছে পুলিশ। চলছে অনলাইনে সাইবার টহল। নজরদারি করা হচ্ছে বিভিন্ন ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার ও ইমো’র মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপগুলোতে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালেও গ্রহণ করা হবে কঠোর ব্যবস্থা। মোট কথায় যেকোন পাবলিক পরীক্ষাকে কলঙ্কমুক্ত করতে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।