অর্থ পাচার মামলায় ৭ বছর ও দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ডের আসামি বর্তমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ও ক্যাসিনো সম্রাট তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে অনেকটাই এগিয়েছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল)। চিহ্নিত এই দুর্নীতিবাজকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে চিন্তা ভাবনা করছে ইন্টারপোল।
জানা গেছে, এর আগেও বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুরোধে শাস্তির মুখোমুখি করতে তাকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছিলো ইন্টারপোল। যার ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের মার্চের ২১ তারিখে সংস্থাটি তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার জন্য রেড নোটিশ জারি করেছিলো। এবার ক্যাসিনো ইস্যুতে তারেক রহমানকে ইন্টারপোল দেশে পাঠাচ্ছে, এমন গুঞ্জন লন্ডনে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়, লন্ডনের কিংস্টন হোটেলে তারেক রহমানের একটি ক্যাসিনো রয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থিত মাফিয়াদের ক্যাসিনো থেকে টাকা সংগ্রহ করে বিগত ৭ বছরে লন্ডনে চারটি ক্যাসিনো দিয়েছেন তারেক রহমান। তবে সে দেশের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা সুইস ব্যাংকে প্রেরণ করার খবরটি ফাঁস হওয়ার কারণেই তাকে লন্ডন থেকে বের করার চেষ্টা করছে ইন্টারপোল।
এ বিষয়ে শেষ খবর হলো, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তারেক রহমানকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিবে ইন্টারপোল।
এর আগে তারেক রহমানের ওপর রেড অ্যালার্ট জারি করেছিলো ইন্টারপোল। আইএস সমর্থক তরুণী শামীমার সঙ্গে তারেক রহমানের আন্তঃযোগাযোগ শনাক্ত করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ইন্টারপোল।
ইন্টারপোল সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে লন্ডনের যে তিন স্কুল-পড়ুয়া মেয়ে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সাথে যোগ দেবার জন্য ব্রিটেন ত্যাগ করেছিল। তাদের ইন্ধন দিয়েছিলেন তারেক রহমান। উক্ত তিন নারীর মধ্যে তারেক রহমানের করা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শামীমা এখন যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে চান। যা বুঝতে পেরে দেশটির সরকার এখন শামীমাকে ইংল্যান্ডে প্রবেশ করতে দিচ্ছিলো না। যার কারণে ইন্ধনদাতা তারেক রহমানকে লন্ডন ত্যাগ করার লাস্ট ওয়ার্নিং দেয়া হয়েছিলো। তবে এবার ক্যাসিনো ইস্যুতে শেষ পর্যন্ত তাকে বাংলাদেশে ফিরতেই হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইন্টারপোল।