প্রতিটি পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁসমুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সে মতোবেক কাজ করে যাচ্ছে কর্মকর্তারা। আগামী ১১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া এমবিবিএস পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেও সোচ্চার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর তাই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে পরীক্ষার্থীদেরকে গুজবে বিশ্বাস না করে নিবিড়ভাবে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে যোগ্যতা প্রমাণের উপদেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কেম এম আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত ওই বার্তায় বলা হয়েছে, শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে। এ লক্ষ্যে গত এক সেপ্টেম্বর থেকে সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সুষ্ঠু পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল সজাগ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তৎপর রয়েছে।
প্রতারকচক্রের অনৈতিক প্রলোভনে সাড়া না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালে তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শৃঙ্খল রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন থেকেই নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখে দিতে গুজবের বিরুদ্ধে মাঠপর্যায়ে নজর রাখছে তারা।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। অধিপ্তরের মতো আমরাও বলতে চাই, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার পাশাপাশি কোনো পরীক্ষাতেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ পাবে না কুচক্রীরা। এ সংক্রান্ত গুজব রুখে দিতেও সবসময় সোচ্চার আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে প্রতারকচক্রের কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুম এবং নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানোর জন্য সকলকে অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।