স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মাদকের ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। আমাদের সমাজ, আমাদের ধর্ম মাদককে প্রশ্রয় দেয় না। আমরা কোনো মাদক তৈরি করি না, তবুও আমরা মাদকের আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সমাজ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গি ও মাদক নির্মূল করে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে নতুন প্রজন্মের কাছে একটি শান্তিময় বাংলাদেশ উপহার দিয়ে যেতে চাই।’
এই কথা এবং অঙ্গীকারকে কেন্দ্র করেই দেশে চলছে মাদক বিরোধী অভিযান। ঢাকা ও গাজীপুরে মাদকবিরোধী পৃথক অভিযানে মাদকসেবন ও বিক্রির অভিযোগে ৭৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি ও র্যাব। অভিযানে বিপুল পরিমাণ হেরোইন-ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ও প্রাইভেটকার। র্যাব-১ এর অধিনায়ক মোঃ. সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, (২৫ অগাস্ট) রবিবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গী থানার এরশাদ নগর থেকে পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মোঃ. বাপ্পী হোসেন বেলাল, মোঃ. সুমন গাজী, মোঃ. ফিরোজ কবির, মোঃ. মেহেদী হাসান মুন্না ও মোঃ. সোলায়মান আলী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬৪৪ বোতল ফেনসিডিল, ছয়টি মোবাইল ফোন, ৬ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া মাদক পরিবহনে তাদের ব্যবহৃত পিকআপ ও প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব-৪ এর এএসপি মোহাম্মদ সাইফুল মালিক জানান, রবিবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকা থেকে হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- সুশীল ম ল ও মোঃ. আবির ওরফে আয়ব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭০ গ্রাম ৪২০ পুরিয়া হেরোইন, তিনটি মোবাইল ফোন, চারটি সিম কার্ড ও হেরোইন বিক্রির ২৩ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত হেরোইনের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
এদিকে, ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মোঃ. মাসুদুর রহমান জানান, (২৪অগাস্ট) শনিবার সকাল ৬টা থেকে (২৫অগাস্ট) রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে ৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে ৭৮২ পিস ইয়াবা, ৪৮৮ গ্রাম ১৮৬০ পুরিয়া হেরোইন, ৫ কেজি ২৭০ গ্রাম গাঁজা, ৩০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৭০ বোতল ১৯৫০ মি.লি ফেনসিডিল, ৮ বোতল বিদেশি মদ ও ২৪ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়।