বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন মেডিসিন অনুষদের অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে।এর বেশির ভাগই অমূলক।সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুঝুঁকি ১ শতাংশেরও কম। ডেঙ্গু জ্বর একধরনের ভাইরাসজনিত রোগ। এমনিতে এ থেকে বড় ধরনের আশঙ্কা নেই।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুঝুঁকি ১ শতাংশের কম হলেও কেবল সচেতনতার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হচ্ছে। জ্বর অনুভূত হলেও সাধারণ সিমটম ভেবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করার ফলে এমন হচ্ছে। জ্বর নিয়ে সকলের সচেতন হওয়া দরকার। এছাড়া এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে- এমন অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ রোধে সকলের সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি দিতে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক চিকিৎসক বলেন, এখন পর্যন্ত যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা প্রত্যেকেই জ্বরকে সাধারণ জ্বর ভেবে নিজেদের মতো ওষুধ সেবন করেছেন। পরে অবস্থা জটিল হওয়ার কারণে তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছে। ফলে তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এ কারণে প্রত্যেকেরই উচিত জ্বর জ্বর অনুভূত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
তিনি আরও বলেন, শুধু জ্বর জ্বর অনুভূত হওয়া ছাড়াও আমাদের বাসা-বাড়িতে ফুলের টব, ফ্রিজ ও এসির পানি জমতে না দিলেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। ফলে সকল স্তরের মানুষ সচেতন হলেই ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে যেটুকু সময় জ্বর থাকে শুধু সে সময়টুকুই ভাইরাস সচল থাকে। এরপর অ্যান্টিবডি তৈরি হলে ভাইরাসটা আর থাকার সুযোগ নেই। অর্থাৎ আক্রান্ত রোগীর রক্তের প্লাটিলেট কাউন্ট উন্নত হলে ভাইরাস আর থাকে না। তিনি এও বলেন, জ্বর কমে গেলেও চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ব্যবস্থা নিলে ভয়ের কিছু থাকবে না।