ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বিএসটিআইর অনুমোদন না থাকায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসান ফুড প্রোডাক্টস, এস আলম খান কনজুমার অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাক্টস লিমিটেড ও এসএস ফুড প্রোডাক্টস নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মুরসালিন, ফারুক হোসেন, রিপন, রাকিবুল, সাজিদুল ইসলাম ও ইমন।
র্যাব -১১ এর মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলার বানিয়াদী ও পোনাব এলাকায় হাসান ফুড প্রোডাক্টস, এস আলম খান কনজুমার অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাক্টস লিমিটেড ও এসএস ফুড প্রোডাক্টস নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই অনুমোদনবিহীন নকল ট্রপিকো লিচি ড্রিংকস, ম্যাজিক স্ট্রবেরি জেলি, গ্রিন বিস্কুট, টনি অরেঞ্জ ড্রিংকস, মায়া লিচি ড্রিংকস, প্রাণ লিচি ফ্লেভার, ম্যাজিক লিচি, ডক্টরস ফ্রুটু, দারুচিনি সস, দারুচিনি সরিষার তেল উৎপাদন করে বাজারজাত করছে।
সোমবার দিনব্যাপী র্যাব -১১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পোনাব এলাকার হাসান ফুড প্রোডাক্টসের মালিক ইমারত হোসেনকে ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় এস আলম খান কনজুমার অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাক্টস লিমিটেডের ৬ শ্রমিককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এস আলম খান কনজুমার অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাক্টস লিমিটেড ও এসএস ফুড প্রোডাক্টস নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দেয়া হয়।