অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ব্যাংকের ঋণ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ এনে করা সিনহার বিরুদ্ধে মামলায় আইনজীবীরা বলছে, মামলায় সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকায় তার ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দুদক সূত্র বলছে, ১০ জুলাই সকালে মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। ফারমার্স ব্যাংক থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) অ্যাকাউন্টে চার কোটি টাকা জমা হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করতে ব্যাংকটির সাবেক এমডি একেএম শামীমসহ ছয় কর্মকর্তাকে তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন।
দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের পাঠানো নোটিশে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ওই কর্মকর্তাদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। এস কে সিনহার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালিয়ে আসছে দুদক।
দুদকের এক অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে চার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে ওই টাকা ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ’ এক ব্যক্তির নামে হস্তান্তর দেখিয়ে আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে দুই কোটি টাকা করে মোট চার কোটি টাকা শাহজাহান ও নিরঞ্জন নামে দুই ব্যক্তি ঋণ নেন। এরপর একই বছরের ১৬ নভেম্বর সেই অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন।