সারা দেশব্যাপী চলমান রয়েছে ভেজালবিরোধী অভিযান। এ অভিযান নতুন উদ্যমে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাজার ব্যবস্থায় যতদিন পর্যন্ত ভেজালের নৈরাজ্য দূর করা সম্ভব না হবে ততদিন পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। এমনকি নিয়মিত মনিটরিংও অব্যাহত রাখা হবে।
প্রতিদিনের মতো অভিযান চালিয়ে আজ সোমবার (৮ জুন) আমদানিকৃত শিশুখাদ্যের মোড়কে স্টিকার না থাকায় পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রাজধানীর কাপ্তান বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সুমন স্টোর, নিউ আমানিয়া স্টোর, আল্লাহর দান ট্রেডার্স, নিয়ামত স্টোর ও আল্লার দান স্টোর।
অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মাসুম আরিফিন ও আফরোজা রহমান।
উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, খাদ্যে কোনো রকম ভেজাল, অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এ ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করছে অধিদপ্তর। এরই অংশ হিসেবে আজ কাপ্তান বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিদেশি খাদ্য পণ্যের মোড়কে আমদানিকারক স্টিকার না থাকায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাজার তদারকিকালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে মোল্লা ফার্মেসি ও ইসলাম ড্রাগ হাউজকে ৫০ হাজার টাকা করে এক লাখ টাকা জরিমানা ও সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়।
এছাড়া মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে বাদশা মিঞা গোশতের দোকান ও নুরুল ইসলামের গোশতের দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।