ইসি প্রদত্ত নতুন ‘জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্মার্ট কার্ড’ এখন মানুষের হাতে হাতে। এই কার্ডের পাঁচটি স্তরে ২৫টি সিকিউরিটি ফিচার আছে। কার্ডে পাঁচটি লেয়ারে সিকিউরিটি ফিচার দেয়া আছে। ইসি সূত্র জানিয়েছে, নতুন স্মার্ট কার্ড মেশিন রিডেবল, যা কার্ড জালিয়াতির হাত থেকে বাড়তি নিরাপত্তা প্রদান করবে।
স্মার্ট কার্ডে প্রত্যেক নাগরিকের বিস্তারিত তথ্য থাকছে। এগুলো হলো- ব্যক্তির নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, পেশা, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, বয়স, বৈবাহিক অবস্থা, জন্মতারিখ, রক্তের গ্রুপ, জন্ম নিবন্ধন সনদ, লিঙ্গ, জন্মস্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দৃশ্যমান শনাক্তকরণ চিহ্ন, ধর্ম। এই স্মার্ট কার্ডে থাকছে ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি।
এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট নম্বর, আয়কর সনদ নম্বর, টেলিফোন ও মোবাইল নম্বর, মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, স্বামী বা স্ত্রীর নাম ও পরিচয়পত্র নম্বর (থাকলে) এবং মা-বাবা, স্বামী বা স্ত্রী মৃত হলে সে-সংক্রান্ত তথ্যও সংযুক্ত করা হয়েছে স্মার্ট কার্ডে। এছাড়া যারা অসামর্থ্য বা প্রতিবন্ধী, সে তথ্যও উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আগের জাতীয় পরিচয় পত্রে বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে পিতার নাম ব্যবহারের সুবিধা ছিল না। এবার তা যুক্ত করা হয়েছে। নারীরা স্বামীর নামের পরিবর্তে চাইলে বাবার নাম যুক্তের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র পূর্বে যে কাজ ব্যবহার হতো, তা স্মার্ট কার্ডেও করা যাবে। জানা গেছে, ২২ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে এই কার্ডের মাধ্যমে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য- নির্বাচনে ভোটার শনাক্তকরণ, ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও নবায়ন, ট্রেড লাইসেন্স করা, পাসপোর্ট করা ও নবায়ন, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, চাকরির আবেদন, বিমা স্কিমে অংশগ্রহণ, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, মোবাইল সংযোগ, হেলথ কার্ড, ই-ক্যাশ, শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খোলা এবং সরকারি সব অনলাইন সুবিধা। এছাড়া আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।