শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের বিকল্প নেই। ‘মানসম্মত শিক্ষা আমাদের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সোমবার (২৪জুন) থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে জাতীয় শিক্ষা সেবা সপ্তাহ-২০১৯। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ও তার অধীন সকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা সেবা সপ্তাহ উদ্যাপন করা হবে। শিক্ষা সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। বলেছেন, শিক্ষার সব কাজে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু শিক্ষা সপ্তাহে সেবা দেয়া হবে; অন্য সময়ে সেবার নামে হয়রানির শিকার হয়ে ফিরে যেতে হবে, তা হবে না।
সোমবার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) শিক্ষা সেবা সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষা সপ্তাহ চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। সপ্তাহব্যাপী শিক্ষা অধিদফতরের সকল কার্যালয় থেকে জনসাধারণ ও সেবা প্রত্যাশীদের বিশেষ সেবা প্রদান করা হবে। সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে সকালে একটি আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে শিক্ষা অধিদফতর। র্যালি শেষে ছিল আলোচনা সভা। এ ছাড়া শিক্ষা সেবা সপ্তাহের বিশেষ নীল গেঞ্জি ও হলুদ টুপি পরে অফিস করেছেন শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শিক্ষা সেবা সপ্তাহ উদ্যাপনের নির্দেশ দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক ও উপপরিচালকদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষা সেবা সপ্তাহের সব উপকরণ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। সেবা সপ্তাহ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোঃ আমির হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশে শিক্ষা সেবা সপ্তাহ বিষয়ে সকলকে অবহিত করতে এবং সপ্তাহব্যাপী বিশেষ সেবা প্রদান করতে বলা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক ও উপপরিচালক এবং সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে।
শিক্ষা সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে আরও ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন ও কারিগরি, মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুন্সী শাহাবুদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
সোহরাব হোসাইন বলেন, সেবা সপ্তাহে যে সেবা আপনারা প্রদান করবেন তা সারা বছর ও সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। সেবাসমূহ সঠিক সময়ে দিতে হবে। মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। কোন চিঠি প্রাপ্তির পর কতদিন পর তার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। কোন নথি নিজের টেবিলে অনিষ্পন্ন রেখে বাসায় যাওয়া যাবে না।
মুন্সি শাহাবুদ্দীন বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য তিনটি। এক, শিক্ষার্থীদের জীবনে স্বপ্ন দেখতে শিখাতে হবে, দুই, স্বপ্ন বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে, তিন, সৎ জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।