ভেজালমুক্ত সমাজ গড়তে প্রতিনিয়ত ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য রাখা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও মজুদসহ খাদ্যে ভেজালের দায়ে সিলেট, বরিশাল, জগন্নাথপুরের ৭টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২৪ জুন) সিলেট, বরিশাল, জগন্নাথপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়।
উক্ত দিনে সিলেটে অতিরিক্ত মূল্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অপরাধে নগরের বন্দর বাজারে ২ টি ফার্মেসিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সিলেট জেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এ জরিমানা আদায় করে। অভিযানে রহমানিয়া ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা ও জনসেবা ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনা আক্তারের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর স্নিগ্ধেন্দু সরকার ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা।
এদিকে একইদিনে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ মজুদ ও বিক্রয়ের দায়ে বরিশালে এক ফার্মেসির মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি এ সময় প্রায় লক্ষাধিক টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ জব্দ করা হয়। বিকালে নগরীর সদর রোডে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা ঘোষের নেতৃত্বে অভিযানে নামেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় সদর রোডের ডে নাইট ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার মেয়াদ উত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ১৮ ধরনের ওষুধ পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফার্মেসির মালিক সঞ্জয় দে’কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের ড্রাগ সুপারভাইজার এসএম সুলতানুল আরেফিন। অভিযানে বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সাইফুল এনাম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ওইদিন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরশহরে চার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুল আলম মাসুমের নেতৃত্বে ভ্রমমাণ আদালতের একটি দল শহরে অভিযান পরিচালনা করে রিফাত এন্ড কোম্পানি থেকে ১০ হাজার টাকা, আশা ট্রের্ডাস থেকে ৫ হাজার টাকা, হবিব ট্রের্ডাস থেকে ৫ হাজার টাকা ও মুসলিম সুইট মিট থেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য দ্রব্য রাখার দায়ে জরিমানা করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।