আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পালন করা কর্মসূচি পণ্ড করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তারেক রহমান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছ থেকে এমন নির্দেশনা এসেছিল বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো উচিত এমন পরামর্শ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তারেক রহমানের তোপের মুখে পড়েছেন। শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্কাইপে তারেক রহমানের সাথে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির শুভেচ্ছা জানানোর বিষয়ে মন্তব্য করেন। এতে তিনি তারেক রহমানের ভর্ৎসনার শিকার হন।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। আমরাও ফখরুল সাহেবের এই কথার সাথে একমত। তারেক রহমানের কাছে শনিবারের বৈঠক চলাকালে এমন পরামর্শ দিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। কিন্তু তারেক রহমান সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা না দিয়ে উল্টো দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে অপমান করেন। এসময় তারেক রহমান ফখরুল সাহেবের কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পরিকল্পিতভাবে পণ্ড করার মতো কথাও বলেন। যা স্থায়ী কমিটির কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি।
এদিকে বিএনপির অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পরিকল্পিতভাবে পণ্ড করার নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান রাজনৈতিক মূর্খতার পরিচয় দিয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্কাইপে তারেক রহমান যে ব্যবহার করেছেন দলের মহাসচিবের পদ থেকে তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তারেকের এহেন ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়েছি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে রাজনীতি করতে হলে অবশ্য আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের শুভেচ্ছা জানানো উচিত।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা চেয়েছিলেন শুভেচ্ছা জানিয়ে সরকার দলীয় সংগঠনটির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরোধিতার জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হন। এমনকি তারেক-ফখরুলের বাকবিতণ্ডায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষীকির অনুষ্ঠান পণ্ড করার পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়।