বেগম খালেদা জিয়ার বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী হতাশ হয়ে রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন শিমুল বিশ্বাস।
জানা গেছে, বিএনপিতে নতুনভাবে যুক্ত হওয়া কিছু নেতা ইতোমধ্যে শিমুল বিশ্বাসকে শায়েস্তা করার হুমকি দিলে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন বেগম জিয়ার এই বিশ্বস্ত অনুচর।
এই বিষয়ে বিএনপির এক সিনিয়র নেতা অত্যন্ত আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শিমুল বিশ্বাস এখন নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যেই তিনি নেই। বিএনপি এখন বিশ্বাসঘাতকদের দখলে। বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করতে কিছু বিশ্বাসঘাতক নেতা গুপ্তচর হয়ে কাজ করছেন। তারই অংশ হিসেবে কিছু বিশ্বাসঘাতক নেতা শিমুল বিশ্বাসকে শায়েস্তা করার হুমকি দিচ্ছেন। আর এ কারণেই শিমুল বিশ্বাস নিজেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন।
বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয় যখন কারাগার থেকে বেরিয়ে শিমুল বিশ্বাস বলেছিলেন, তাকে গ্রেপ্তার করার পেছনে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হাত ছিল। তাদের কারণেই তার এই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে।
শিমুল বিশ্বাসের বর্তমান অবস্থাকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, বিএনপির কোন নব্য নেতা শিমুল বিশ্বাসকে শায়েস্তা করতে চাইছেন, সে বিষয়ে তিনি কিছু না বললেও বোঝাই যাচ্ছে তার ইশারা ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের দিকে। ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির সবচেয়ে বেশি যে নেতার সখ্যতা, তিনি হচ্ছেন মির্জা ফখরুল। ফলে বলতে দ্বিধা নেই, শুধু মাত্র মির্জা ফখরুলের ভয়েই বিএনপি ছাড়লেন শিমুল বিশ্বাস।
তিনি আরো বলেন, তবে শুধু শিমুল বিশ্বাস একা নন, শিমুল বিশ্বাসের মতো বেগম খালেদা জিয়ার যারা ঘনিষ্ঠ ছিলেন এরকম অনেক নেতাই রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে, মির্জা ফখরুলের কাঁধে বিএনপির সম্পূর্ণ দায়িত্ব চলে আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র।