বয়সসীমা নির্ধারণ ও অন্যান্য শর্তারোপ করে কমিটি বাতিল করে দেয়ায় এবং ছাত্রদলের চলমান আন্দোলন নিয়ে বিএনপির সংকট স্বীকার করে নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তবে, ছাত্রদলের কমিটি গঠনে গয়েশ্বরকে কোনো দায়িত্ব না দেয়ায় মনের ক্ষোভ থেকে ছাত্রদল নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন গয়েশ্বর- এমন গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপির রাজনীতিতে।
এদিকে ছাত্রদলের চলমান সংকটকে সিনিয়রদের ব্যর্থতা দাবি করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ছাত্রদলের অভ্যন্তরে যা চলছে সেটি অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। কারণ ছাত্রদলের সংঘাত প্রতিহিংসায় রূপ নিয়েছে। পার্টি অফিসে তালা দেয়া, মারামারি করাটা শুভ লক্ষণ নয়। আমি ছাত্রদলের কর্মকাণ্ডে হতবাক হয়েছি। পদ নিয়ে তারা যা করলো সেটি বিএনপির জন্য কলঙ্কজনক। অবশ্য এর জন্য আমরা সিনিয়ররা কম দায়ী নই। রিজভী সাহেব কমিটি দেয়ার নামে যে জাল বিছিয়ে রেখেছেন, সেটি সেদিন আমরা স্পষ্ট দেখেছি।
তিনি আরো বলেন, ছাত্ররা দীর্ঘদিন জেল খাটলো, মামলা এবং পুলিশের হয়রানির স্বীকার হলো। অথচ ওদের অবদানের বিনিময়ে ওরা কী পাবে? ওদের কি মূল্যায়ন হবে? দোষটা কার? দোষটা সিস্টেমের। দোষটা কিছু সুবিধাবাদী নেতার।
এদিকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। দুদু বলেন, ছাত্রদলের কারণে সৃষ্ট যে জটিলতা দেখা দিয়েছে তা নিয়ে অনেকেই রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। অনেকেই অসন্তোষের আগুনে ঘি ঢালার চেষ্টা করছেন। গয়েশ্বর দা ছাত্রদল নিয়ে যা বলেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। আমি জানতে পেরেছি, ছাত্রদলের বাছাই কমিটিতে তাকে স্থান না দেয়ায় অন্তর্জ্বালা থেকে তিনি এসব করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত আসনে তার পুত্রবধূকে মনোনয়ন না দেয়ায় দলের উপর ভীষণ ক্ষিপ্ত তিনি।
তিনি আরো বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র সব সময় অতিরিক্ত কথা বলে ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। আসলে ব্যক্তিগত রোষের কারণে অনেক নেতাই ভুল-ভাল বলে থাকেন। দলীয় রাজনীতিতে ব্যক্তি ইমোশনের কোনো জায়গা নেই। সুতরাং আমি বলবো, আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন।