জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সৃষ্ট সংকট, অনাস্থা, মতবিরোধ ও অনৈক্যের জন্য বিএনপি তথা তারেক রহমানকে দায়ী করে নতুন সমালোচনার জন্ম দিয়ে রোষানলে পড়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি, জ্যেষ্ঠ নেতাদের অলসতা ও সব বিষয়ে তারেক রহমানের নাক গলানোর কারণে দলটি রাজনীতির ব্যাকফুটে চলে গেছে বলেও মনে করেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বিএনপিকে অচিরেই শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। দল গোছাতে হবে। বয়স্ক, অলস ও ভীতু নেতাদের ছাঁটাই করে নতুনদের হাতে দায়িত্ব দিতে হবে। আর তারেক রহমানকে রাজনীতি শিখতে হবে। প্রয়োজনে রাজনীতি থেকে ২ বছরের অবসর নিয়ে পলিটিক্স নিয়ে বৃহত্তর গবেষণা বা লেখাপড়াও করা উচিৎ।
জাফরুল্লাহ আরো বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরে কিছু কুচক্রী রয়েছেন, যারা দলকে গৃহপালিত করে রাখতে চান। সম্ভবত কোনো মহলের আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিএনপিকে স্থবির দলে পরিণত করার মিশনে নেমেছেন বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা। দলকে বাঁচাতে হলে বেইমান, ডাবল ডিলার ও প্রতারকদের বের করে দিতে হবে।
এদিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজেকে বিএনপি সমর্থক মনে করলেও তিনি আসলে পেইড এজেন্ট। একটি মহলের দেয়া অর্থ-বিত্তের লোভে পড়ে বিএনপি ও তারেক রহমানের বদনাম করার মিশনে নেমেছেন। তিনি আসলে বাচাল প্রকৃতির মানুষ। তাকে নিয়ে খোদ ড. কামালও বিব্রত।
তিনি আরো বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী যাদের ইশারায় বিএনপির পেছনে হাত ধুয়ে নেমে পড়েছেন, স্বার্থউদ্ধার হলে তারাই একদিন তাকে আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে ফেলবে। তিনি যা বলেন তা অন্যের শিখিয়ে দেয়া বুলি। তার নিজস্ব কোনো জ্ঞান নেই বলেই মনে হচ্ছে।