দেশের সুষ্ঠু-স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটাতে এবার মাঠে নেমেছে জামায়াত। আর এতে ইন্ধন যোগাচ্ছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তকমা পাওয়া বিএনপি। সম্প্রতি রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে ব্যাপক তদন্তের প্রেক্ষিতে একইরকম কয়েকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানী তথ্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনটি মনে করছেন।
গত ৬ জুন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ছাদে পেট্রলবোমা সদৃশ একটি বোতল উদ্ধার করা হয়। পরে এই ইস্যুতে সরব হন বিএনপির কর্মীরা। এই ইস্যু নিয়ে বিএনপি সরকারকে দোষারোপ করেছেন। অথচ উদ্ধারকৃত বোতলটিতে পেট্রল থাকলেও তা পেট্রলবোমা নয় বলে প্রমাণ হয়েছে। এ থেকে গুঞ্জন উঠেছে, রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলতে বিএনপি-জামায়াতের পরিকল্পনায় এমন আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন তারা।
এদিকে এই ঘটনার ৩ দিন পর রাজধানীর বিজয় সরণি সড়কে সকাল থেকেই ছিল আতঙ্ক। সড়কের পাশে একটি ভবন ভাঙার কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। সকাল সাড়ে ১০টায় তারা দেখতে পান একটি হালকা সবুজ রংয়ের ব্রিফকেস। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে পুরো সড়কটি কর্ডন করে ফেলে। পুলিশের বিশেষায়িত বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে ডাকা হয়। ব্রিফকেসটি ঘণ্টাখানেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুপুর সাড়ে ১২টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এটিকে খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ব্রিফকেস খুলে প্রথমেই পাওয়া যায় তিনটি লিপস্টিক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ব্রিফকেসটিতে বোমা আছে বলে আতঙ্ক শুরু করে ৩/৪ জন যুবক। সেই আতঙ্ক মুহূর্তেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে অল্পসময় পরে ওই যুবকদের আর দেখা যায়নি।
এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জনমনে আতঙ্ক ছড়াতেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র এমন গুজব ছড়াচ্ছে বলেই আমার মনে হয়। তবে এটি রাজনৈতিক ইস্যু। বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে এরকম বহু ঘটনার প্রমাণ পাওয়ায় এটিকে তাদের একটি কৌশলও বলা যেতে পারে। ফলে এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি একটু বাড়িয়ে জড়িতদের হাতেনাতে ধরতে পারলে এর গোমর বেরিয়ে আসবে