একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিএনপির ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। আর এই মনোনয়নের পর থেকেই খোদ বিএনপিতে উঠেছে গুঞ্জন, দেখতে রূপবতী বলেই কি এতো হেভিওয়েট নারী প্রার্থীর ভিড়ে মনোনয়ন পেলেন রুমিন? রুমিন ফারহানার আসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর জনমনেও আসছে ঘুরেফিরে একই প্রশ্ন- জনগণের সবচাইতে কাছে থাকা নেতা উকিল আবদুস সাত্তারকে জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন না দিয়ে, এলাকার মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকা রুমিন ফারহানাকে মনোনয়ন দেয়ার ভিত্তি কি? তাহলে কী সৌন্দর্যের কাছেই ধরাশায়ী হলেন বিএনপি’র নীতি নির্ধারনী মহল, এমন প্রশ্নও ভাসছে সোস্যাল মিডিয়াসহ রাজনীতি সচেতন বিভিন্ন মহলে।
জানা যায়, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি গত ৯ জুন রোববার দুপুরে শপথ নিয়েছেন। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। দুপুর ১২টায় রুমিনকে জাতীয় সংসদ ভবনের নিজ কার্যালয়ে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বিএনপির সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক। একাদশ সংসদে আনুপাতিক হারে বিএনপি একটি মাত্র সংরক্ষিত আসন পেয়েছে। সেই আসনে বিএনপি রুমিনকে মনোনয়ন দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ( সরাইল উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলা) আসনের অধিকাংশ বিএনপি নেতারাও হতাশা প্রকাশ করেন এই বিষয়ে। ঘুরেফিরে চায়ের আড্ডায় কিংবা দলীয় রাজনৈতিক আড্ডায় আসছে রুমিন ফারহানার এই অস্বাভাবিক উথানের গল্প। নেতাকর্মীরা মনে করেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি যেমন নমিনেশন পেপার নিয়ে জড়িয়েছে ব্যাবসায়, ঠিক তেমনি রুমিন ফারহানার মনোনয়ন এবং নারী আসনের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পেছনেও রয়েছে কোন স্বার্থ। অনেকেই মনে করছেন দেখতে সুন্দর বলেই রুমিনের প্রতি বিশেষ টান রয়েছে দলের নীতি নির্ধারকদের। দলের শীর্ষ নেতাদের মনোরঞ্জনের মাধ্যমেই মিলেছে রুমিনের সাংসদ হবার সুযোগ।
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সাতটি আসনে জয়লাভ করে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকি সবাই শপথ নিয়ে সংসদে গেছেন। এ ক্ষেত্রে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন আইন অনুযায়ী, দলটিকে একটি আসন বণ্টন করে দিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।