গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জোটের দুর্দশায় বিএনপির হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের দায়ী করলেও এবার হঠাৎ ভোল পাল্টিয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সৃষ্ট অসঙ্গতিতে স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের দায়ী করেছেন। এতে জাফরুল্লাহ চৌধুরী তারেক রহমানের আস্থাভাজন হওয়ার দৌড় শুরু করেছেন বলেও জোটে সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে বিএনপির সমস্যার পেছনে তারেক রহমান দায়ী নয়, বরং দায়ী স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা। তিনি লন্ডন থেকে বারবার ঐক্যফ্রন্টের অগ্রগতি সম্পর্কে নানা পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে মির্জা ফখরুল সম্পর্কে জাফরুল্লাহ বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংসদে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে দলের রাজনীতির জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, আমি তো মনে করি মির্জা ফখরুল খুব ভালো করেছেন, দলের রাজনীতি ঠিক রেখেছেন। তিনি তো বিএনপিকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। নেতা হিসেবে তিনি ঠিক কাজটিই করেছেন।
তবে জাফরুল্লাহর বক্তব্যকে সমর্থন করছেন না ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলের অনেকেই। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঐক্যফ্রন্ট কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, বিষয়টি ঐক্যফ্রন্টের বড় দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করছে বিএনপির ওপর। পাঁচ মাস নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকলাম, সে নিষ্ক্রিয়তা ভাঙতে পারেনি বিএনপি। তারা কোন এক অদৃশ্য কারণে উদ্যোগ নিচ্ছে না। আর তা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব কর্তৃত্বই নির্ধারিত হচ্ছে। সুতরাং জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এমন বক্তব্য অমূলক।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, কে কার মনোরঞ্জনে কথা বলছেন তা বোঝা বেশ মুশকিল হয়ে উঠেছে। এইসব চাটুকার দিয়ে রাজনীতি উদ্ধার করে জোটের গতি ফিরিয়ে আনতে হলে তা সহজ হবে না। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।
এদিকে ঐক্যফ্রন্টের দুর্দশায় তারেক-ফখরুলের দায় ও জাফরুল্লাহর বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সহমত প্রকাশ করছেন কিনা জানতে চাইলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।