বিএনপির বর্তমান অধঃপতনের অন্যতম নাটের গুরু হিসেবে তারেক রহমানকে দায়ী করছেন দলের নীতি নির্ধারণী ফোরামের অনেক সদস্য। এবিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তারেক রহমান বিরোধী নেতারা কারাগারে গিয়ে দেখা করে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়ে এসেছেন বলেও সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এপ্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক ফিলোসফি নিয়ে দিস্তা দিস্তা কাগজে চার-পাঁচ আঙ্গুল মোটা বই লেখা হয়েছে। আমি তার রাজনৈতিক ফিলোসফি চার-পাঁচ লাইনে সামারি করতে পারি। প্রত্যেক মানুষের চিন্তার তিনটা লেভেল আছে। ১. ক্রিটিক্যাল। ২. কমন সেন্স। ৩. আন ক্রিটিক্যাল বা খারাপভাবে বলতে গেলে ‘নির্বোধ’। মূলত তারেক রহমান একটা নির্বোধ। তার নির্বুদ্ধিতার জন্য দলের আজ এই বেহাল দশা। আমার মতে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ায় হবে তারেক রহমানের নির্বুদ্ধিতার একমাত্র প্রায়শ্চিত্ত।
নীতি নির্ধারণী ফোরামের আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়াকে দল থেকে মাইনাস করতেই তারেক রহমান ঐক্যফ্রন্টের সকল বিজয়ী প্রার্থীকে সংসদে পাঠিয়ে সংসদকে বৈধতা দিয়েছেন। তারেক রহমানের পাতানো খেলাতেই দলের আজ নড়বড়ে অবস্থা। নেতাকর্মীরা একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। কারণ তারেক নিজের নিয়ন্ত্রণে দলকে পরিচালিত করতে আলাদাভাবে গ্রুপিং সৃষ্টি করেছেন। যা দলের ভেতরকার বিভেদ আরো তীব্র করেছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জীবনে আর রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে তারেক রহমান চিকিৎসা সেবা নিতে প্যারোলে মুক্তি পান। অথচ এখন তিনি বিএনপির নিয়ন্ত্রণ নিতে নিজের মাকে নিয়েও ষড়যন্ত্র করছেন। যা ইতোমধ্যেই আমাদের দৃষ্টিগোচরে এসেছে। বিএনপির বর্তমান অধঃপতনের অন্যতম নাটের গুরু যে তারেক রহমান এ নিয়ে আর কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।