টটেনহ্যামকে হারিয়ে ইউরোপ সেরা লিভারপুল


স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশের সময় :২ জুন, ২০১৯ ৩:৫১ : পূর্বাহ্ণ 531 Views

ম্যাচের শুরুতেই যে ধাক্কা খেল তা আর কাটিয়ে উঠতে পারলো না টটেনহ্যাম হটস্পার। শেষ দিকে দিভোক ওরিগির গোলে আরও পিছিয়ে পড়লো তারা। দুই অর্ধের দুই গোলে ১৪ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের উচ্ছ্বাসে মাতলো লিভারপুল।

মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় শনিবার শিরোপা লড়াইয়ে ২-০ গোলে জিতেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। দ্বিতীয় মিনিটে মোহামেদ সালাহর পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল অল রেডরা।

গত আসরে ফাইনালে উঠে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল লিভারপুলের। পরের বছরই সেই হতাশায় প্রলেপ দিল তার। জিতলো ইউরোপ সেরার মুকুট। ক্লাব পর্যায়ে ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় লিভারপুলের এটা ষষ্ঠ শিরোপা। এর আগে সবশেষ জিতেছিল ২০০৪-০৫ মৌসুমে।

স্বপ্ন পূরণের ম্যাচে লিভারপুল শুরুটা করে অসাধারণ। ঘড়িতে সেকেন্ডের কাটা ২৬ ছুঁইছুঁই, ম্যাচের প্রথম আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া সাদিও মানের শটে বল মিডফিল্ডার মুসা সিসোকোর বুকে লেগে স্পর্শ করে হাত। রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। নিখুঁত স্পট কিকে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন সালাহ।

মিশরের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের গোল করলেন সালাহ। দ্বিতীয় মিনিটে হওয়া গোলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে দ্বিতীয় দ্রুততম। তালিকার শীর্ষে আছে ২০০৫ সালে লিভারপুলের বিপক্ষে ৫১ সেকেন্ডের মাথায় এসি মিলানের পাওলো মালদিনির করা গোল।

শুরুর ধাক্কা সামলে বল দখলে রেখে আক্রমণে মনোযোগী হয় টটেনহ্যাম। তবে বিরতির আগে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা দলটি। উল্টো ৩৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতো পারতো। তবে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের জোরালো শটে শেষ মুহূর্তে হাত ছুঁইয়ে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন গোলরক্ষক উগো লরিস।

দ্বিতীয়ার্ধে দুদলের ফুটবলই ছিল গতিহীন, ছন্দের অভাবও ছিল যথেষ্ট। এর মাঝে ৬৯তম মিনিটে জেমস মিলনারের নিচু শট পোস্ট ঘেঁষে চলে গেলে ব্যবধান বাড়েনি। ১০ মিনিট পর সন হিউং মিনের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন।

তিন মিনিট পর ডি-বক্সের বাঁ দিক থেকে ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের শট ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে ব্যবধান ধরে রাখেন আলিসন।

৮৭তম মিনিটে বলতে গেলে সব অনিশ্চয়তার একরকম ইতি টেনে দেন ওরিগি। জোয়েল মাতিপের পাস ডি-বক্সে বাঁ দিকে পেয়ে নিচু শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড। সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনার বিপক্ষে ইতিহাস গড়া ৪-০ ব্যবধানের জয়ে শেষ গোলটিও করেছিলেন তিনি।

ওরিগির ওই গোলেই উল্লাসে মেতে ওঠে লিভারপুল সমর্থকরা। ডাগআউটে ক্লপের চোখে-মুখে তখন স্বপ্ন পূরণের আনন্দ। ক্যারিয়ারে এর আগে যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুবারসহ মোট ছয়টি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেও শিরোপার দেখা পাননি এই জার্মান। সপ্তমবারে এসে অবশেষে পেলেন সাফল্যের দেখা। দলকে জেতালেন ইউরোপ সেরার মুকুট।

শেষ ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন

২০১৮-১৯: লিভারপুল

২০১৭-১৮: রিয়াল মাদ্রিদ

২০১৬-১৭: রিয়াল মাদ্রিদ

২০১৫-১৬: রিয়াল মাদ্রিদ

২০১৪-১৫: বার্সেলোনা

২০১৩-১৪: রিয়াল মাদ্রিদ

২০১২-১৩: বায়ার্ন মিউনিখ

২০১১-১২: চেলসি

২০১০-১১: বার্সেলোনা

২০০৯-১০: ইন্টার মিলান

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!