জেএসএস নেতা কেএস মংসহ আটক ৪


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ মে, ২০১৯ ১১:১৩ : অপরাহ্ণ 612 Views

বান্দরবানে অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা চ থোয়াই মং মারমার হত্যার ঘটনায় পুলিশ জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক ,আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমাসহ ৪ জনকে আটক করেছে।আজ শনিবার বিকেলে সেনাবাহিনী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ তাদের আটক করে।আটক অন্যরা হলেন জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ক্যবামং মারমা,মৌজা হেডম্যান থৈলা প্রু মারমা ও জর্ডান পাড়ার পাড়া প্রধান মংহলা ত্রিপুরা।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।পরে তাদের বিষয়ে সিদ্বান্ত নেয়া হবে।এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে রবিবার জেলায় অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ।শনিবার দুপুরে সন্ত্রাসীদের হাতে অপহ্রত পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চ থোয়াই মং মারমার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পর জেলা নেতৃবৃন্দরা এই কর্মসূচী ঘোষনা করে।ভোর ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৭ উপজেলায় হরতাল পালন করা হবে বলে নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন।রোববারের হরতাল সর্মথনে শনিবার রাত ৮ টায় বান্দরবানে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা আওয়ামীলীগ।বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ এর দলীয় কার্যালয়ে এসে সমবেত হয়।এসময় বক্তারা রোববারের অর্ধ দিবস হরতালকে সুন্দরভাবে পালনের জন্য সকলকে আহবান জানান এবং পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান।উল্লেখ্য গত বুধবার (২২ মে) রাত সাড়ে নয়টায় বান্দরবান সদর উপজেলার উজিমুখ পাড়ায় অবস্থিত খামার বাড়ি থেকে একদল সশন্ত্র সন্ত্রাসী পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বান্দরবান পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর চ থোয়াই মং মারমাকে অপহরন করে নিয়ে যায়।আজ শনিবার ২৫ মে দুপুরে জর্ডান পাড়ার কাছে শিলক খালের আগার ঝিড়ি নামক স্থান থেকে পুলিশ ও স্থানীয়রা ঐ নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।বিকেলে সদর হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।সন্ধ্যায় লাশের সৎকার করা হয়।বিকেলে লাশ উদ্ধার করে জেলা শহরে নিয়ে আসলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও নিহতের স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।জেলা শহরে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা এখন পর্যন্ত জানা না গেলেও বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ এই ঘটনার জন্য শুরু থেকেই আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি কে দায়ী করেছে।যদিও জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দরা এ ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা নেই বলে বার বার দাবি করে আসছে।গত ১৫ দিনে বান্দরবানে রাজবিলা কুহালং সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে ৪ জন নিহত ও একজন অপহৃত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগ ও অপর দুজন জনসংহতি সমিতির। একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনায় রাজবিলা কুহালং ও রোয়াংছড়ির কয়েকটি এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!