বান্দরবানে অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা চ থোয়াই মং মারমাকে হত্যার প্রতিবাদে রোববার অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার বিকেলে এক জরুরি বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের জর্ডান পাড়ার কাছে শিলক খালের আগা থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চ থোয়াই মং মারমার লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত বুধবার রাতে উজিমুখ পাড়ার খামারবাড়ি থেকে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এই নেতাকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে। শনিবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বিকেলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কেশৈহ্লা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতা চ থোয়াই মং মারমার হত্যার প্রতিবাদে রোববার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতাল আহ্বান করা হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বান্দারবানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ঘটনাগুলো অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা চ থোয়াই মং মারমার লাশ উদ্ধারের পর আওয়ামী লীগ শিবিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবাদমুখর হয়ে পড়েছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সদর হাসপাতাল মর্গে ভিড় করছেন নিহতের স্বজন ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ জানান, সন্ত্রাসীরা অপহরণের পর পরই চ থোয়াই মংকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। লাশের মাথা, গলায ও কোমরে বেশ কয়েকটা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাত গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল।
কে বা কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তা জানা না গেলেও আওয়ামী লীগ এ ঘটনার জন্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। যদিও জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছে।
গত ১৫ দিনে বান্দরবানে রাজবিলা কুহালংসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে ৪ জন নিহত ও একজন অপহৃত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগের ও দুজন জনসংহতি সমিতির। একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজবিলা কুহালং ও রোয়াংছড়ির কয়েকটি এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।