২০ দলীয় জোটের চলমান অসন্তোষ দূর করতে সোমবার (১৩ মে) ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা।
বৈঠকে দলীয় কোন্দল দূর করে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী সপ্তাহে মানববন্ধন, রমজানের পর সারা দেশে অনশনসহ আন্দোলন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। বিএনপির এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি ২০ দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলছেন, বিদ্রোহ ও ক্ষোভ দমন করতে দামি ইফতারি করিয়ে বুঝ দেয়ার মিথ্যা চেষ্টা করেছেন বিএনপি নেতারা। যার কারণে আগামীতে বিএনপির জন্য হিতে বিপরীত হবে বলেও মনে করছেন তারা। ২০ দলীয় জোটের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে ক্ষোভের বিষয়ে জানা গেছে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এন শাওন সিদ্দিকী ক্ষোভ নিয়ে বলেন, জোটের সমস্যা সমাধান করা বাদ দিয়ে মির্জা ফখরুলরা ড. কামাল ও ঐক্যফ্রন্টের পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। বুঝলাম না, জোটের বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট কেন প্রাধান্য পাবে? ঈদের পর কঠোর আন্দোলন নিয়ে যা বলা হয়েছে তা তো এক রকম হাস্যকরই বলা চলে। আর কত ঈদ পার হলে আমরা মাঠে নামব, এমন প্রশ্ন করেছিলাম আমি মির্জা ফখরুলকে। তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলেছেন ধৈর্য ধরতে।
বৈঠকের বিষয়ে সদ্য জোট ত্যাগকারী বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, বৈঠকের পর অনেকেই আমাকে ফোন করে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বেশ কয়েকটি ইসলামী দলের নেতা তো জোট ছাড়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাজনৈতিক ভুল করে বিএনপি সেই ভুলকে সঠিক বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। এটি কেউ মেনে নিবে না বলেও জানতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন, নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থার কথা বলে জোটের বিভিন্ন দলের নেতাদের সামনে রাজনৈতিক মুলা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিএনপি। নতুন নির্বাচনের কথা বলে ঠিকই কিন্তু সংসদে প্রবেশ করেছে দলটি। এগুলো রাজনৈতিক প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, বিএনপি নেতারা আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের সংগ্রামে কাছে পাওয়ার জন্যই এসব করছেন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, প্রতারণার রাজনীতি থেকে বিএনপিকে বের হতে হবে। নইলে জোটের ভাঙ্গন রোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ জোটের অন্যান্য দলগুলো বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারছে না।