বার্ধক্যজনিত জ্বরায় ভুগছে বিএনপি। এ কথা মানছেন খোদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর সেই বার্ধক্যজনিত জ্বরা কাটাতে বিএনপির নেতৃত্ব ঢেলে সাজাতে চায় তারেক রহমান। জানা গেছে, এ নিয়ে তৃণমূলের বিএনপির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছেন তিনি। তৃণমূলের সিদ্ধান্তের উপর ভর করেই দলের অসুস্থ, প্রবীণদের অলঙ্কার করে মূল নেতৃত্ব অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং সক্রিয়দের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ঈদের পর নাটকীয়ভাবে দলের বিশেষ কাউন্সিল ডাকা হতে পারে। আর সে প্রস্তুতি পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে তারেক রহমান প্রতিদিনই দলের বিভিন্ন জেলার তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলছেন। দলের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে তৃণমূলের মতামত নিচ্ছেন। লন্ডন বিএনপির একাধিক নেতার মারফতে পরিকল্পনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
লন্ডন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালিকের ঘনিষ্ঠ নেতারা বলছেন, তারেক রহমান নতুন ফর্মুলা হাতে নিয়েছেন। মূলত দলের অসুস্থ এবং দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকা সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে একেবারে দল থেকে বাদ না দিয়ে কিছুটা আড়ালে রেখে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে তরুণদের আনা হবে। এতে বয়োবৃদ্ধ নেতাদেরও মূল্যায়ন থাকবে, উপকৃত হবে তরুণরা।
বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, তারেক রহমান নতুন আঙ্গিকে বিএনপিকে সাজাতে চান বলেই বিএনপির নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এদিকে দলের মহাসচিব পদটিও পাল্টাতে চাইছেন তারেক রহমান। পদটিতে সালাউদ্দিন আহমেদকে মহাসচিব করার ব্যাপারে আগ্রহী তিনি। কিন্তু আইনি জটিলতায় তার দেশে ফেরা অনিশ্চিত বলেই তা হয়ে উঠছে না। এক্ষেত্রে তার দেশে ফেরা বিলম্বিত হলে রুহুল কবির রিজভীকে মন্দের ভালো হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা, এখন তৃণমূলে দারুণ জনপ্রিয় রিজভী।
তারেক রহমানের এমন পরিকল্পনা বিষয়ে নেতারা বলছেন, নেতৃত্ব পরিবর্তনের কৌশলে তারেক রহমান তৃণমূলের সঙ্গে মতামত বিনিময় করছেন দলের বিভেদ এড়াতে। তারেক রহমান যাদের নেতৃত্বে আনতে আগ্রহী তাদের বিষয়ে ধারণা তৈরি করিয়ে দিতেই তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তিনি। যেন নেতৃত্বে নিয়ে বিভেদ তৈরি না হয়।