কেন্দ্রীয় বিএনপির বিভক্তি, মতানৈক্য, স্বেচ্ছাচারিতার সাথে তাল মিলিয়ে তৃণমূলের ছড়িয়ে পড়ছে দল বিধ্বংসী ভাইরাস। কমিটিতে নানা অনিয়মসহ বিশৃঙ্খল বিএনপিতে নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে টানাপোড়েন। যা ক্রমেই অস্তিত্ব সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।
এবার তারই রেশ ধরে লালমনিরহাট বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি নব-গঠিত জেলা বিএনপির কমিটিতে ঠাঁই মেলেনি মামলা-হামলা জেল জুলুম বহনকারী ত্যাগী নেতাদের অনেকেরই। আর সেই অভিযোগে নব-গঠিত বিএনপির এ জেলা কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি’র সহযোগী সংগঠনের ৮ নেতা পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন – জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ওমর ফারুক বাবলু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান জিএস বাবু, জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম রেজা রুবেল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সব-সভাপতি মমিনুল হক, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল বাশার সুমন এবং বাস্তুহারা দলের সভাপতি আবুল কাশেম।
পদবঞ্চিত নেতাদের অভিযোগ, দলের দুর্দিনে যারা বিভিন্ন সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন আছেন সেই সব ত্যাগী নেতাদের দলে ফিরিয়ে না এনে যারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম থেকে বিরত ছিলেন সেই সব সুবিধাবাদীদের দলে পদায়ন করা হয়েছে। যা মেনে নিতে পারছেন না তারা। এমনকি তাদের পদায়নে লালমনিরহাট বিএনপির তৃণমূল নেতাদের সমর্থন নেই কিন্তু তাতে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ নেতাদের।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান জিএস বাবু বলেন, কমিটি নিয়ে কিছু বলতেও রুচি হচ্ছে না। যা হয়েছে তা কেবল টাকার খেলা। ত্যাগীদের বাদ দিয়ে বিত্তশালীদের পদ দেয়া হয়েছে। বুঝে গেছি দলের জন্য শ্রম দিয়ে বস্তুত কোনো লাভ নেই। তাই পদত্যাগ করেছি।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি নব-গঠিত জেলা বিএনপির ঘোষিত ২১৭ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটিতে ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর আস্থাভাজন নেতাকর্মীদের এ কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।