আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তিতে ব্যর্থ বিএনপি নেতাদের ক্ষমতাসীনদের ম্যানেজ করার বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে বিশেষ বার্তা দিয়ে বেগম জিয়ার মুক্তির মিশনে এরই মধ্যে যুক্ত হয়েছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
জানা গেছে, লজ্জা শরম ভুলে ক্ষমতাসীনদের ম্যানেজ করে ঈদুল ফিতরের পূর্বে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে চান তারেক। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দলের দুই সিনিয়র নেতাকে টেলিফোনে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন তারেক। বেগম জিয়ার মুক্তিকে ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট হিসেবে চিহ্নিত করে দেন-দরবার করার জন্য এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন মির্জা ফখরুল ও গয়েশ্বর চন্দ্র। সরকারকে সমীহ করে তাই উল্টাপাল্টা বক্তব্য দেয়া থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে তাদেরকে। এই মিশনে সফল হলে দুজন নেতাকে আগামী কাউন্সিলে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করারও ঘোষণা এসেছে লন্ডন থেকে। যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিনের বরাতে গোপন এই মিশনের ব্যাপারে জানা গেছে।
বিএনপির নতুন মিশনের ব্যাপারে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা শাহিন বলেন, খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য বস্তুত ক্ষমতাসীনদের মুখাপেক্ষী হয়ে আছে বিএনপি। আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়, সেটি ভালোমতোই জানেন তারেক। তাই ৮ মে রাতে টেলিফোনে মির্জা ফখরুল ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সমন্বয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন তারেক।
নাসির আরো জানান, এই দুজন নেতার কাজ হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের ম্যানেজ করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা। তার বিনিময়ে বেগম জিয়া বিদেশে চলে যাবেন এবং রাজনীতির নামে দেশের রাজনীতিতে কোন নাক গলাবেন না। বিএনপির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক এই প্রজেক্টে তাই প্রয়োজনীয় তহবিল গঠনের ঘোষণাও দিয়েছেন তারেক। বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে যা করার দরকার সবটাই করবেন তারেক। এজন্য ভারতের জাতীয় নির্বাচনেও চোখ রাখতে বলা হয়েছে এই দুই নেতাকে। শিগগির ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেও মির্জা ফখরুলদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তিনি এও বলেন, আমরা আশাবাদী বেগম জিয়া এই ঈদ জেলের বাইরে উদযাপন করতে পারবেন। জেদাজেদি করে বিএনপির যা ক্ষতি হয়েছে, সেটির পুনরাবৃত্তি করতে চান না খালেদা পুত্র তারেক।