একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী ৩০০ প্রার্থীর মধ্যে গণফোরামের সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানের পর এবার দলীয় সিদ্ধান্ত ডিঙ্গিয়ে শপথ নিলেন ধানের শীষের জাহিদুর রহমান। তিনি ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে শপথ নিয়েছেন তিনি। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুরের শপথ গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে দুপুর ১২টার দিকে শেষ হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্পিকারের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালেই জাহিদুর রহমান স্পিকারের কার্যালয়ে উপস্থিত হন এবং স্পিকারের কাছে তিনি শপথ গ্রহণ করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিজয়ী হন ৮ জন। এরমধ্যে ২ জন গণফোরামের এবং ৬ জন বিএনপির। শোচনীয় পরাজয়ের পর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ফল বর্জন এবং বিজয়ীদের শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু গণফোরামের দুজন নির্বাচিত এমপি সিদ্ধান্ত না মেনে শপথ নেন। এতে বিপাকে পড়ে বিএনপি। সর্বশেষ বিএনপির ৬ প্রার্থীকে শপথ না নিতে কড়া হুঁশিয়ারি দেয়া হয় দল থেকে। কিন্তু তা না মেনে শপথ নিলেন জাহিদুর রহমান।
এদিকে শপথে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিএনপি থেকে নির্বাচিত আরও দুইজন এমপি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত মো. হারুনুর রশীদ বলেছেন, তিনি সংসদে গিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কথা তুলে ধরতে চান। তিনি জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে’কে জানায়, শপথ না নিলে তিনি এলাকায় যেতে পারবেন না এবং তাকে এলাকার লোকজন মারবে। তাই তিনি শপথ নিতে চান।
এছাড়া বগুড়া- ৪ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি মো. মোশাররফ হোসেন শপথ নিতে জনগণের চাপের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, যেহেতু জনগণ চায় আমি সংসদে যাই, সুতরাং আমি সংসদে যাব। কিন্তু এর জন্য একটু সময় লাগবে। আমি জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই।
এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ওই দুই এমপি হারুনুর রশীদ এবং মোশাররফ হোসেন যেকোনো দিন শপথ নেবেন বলেই জানা গেছে।