একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির নির্বাচিতদের এমপি হিসেবে শপথের বিপক্ষে থেকেও শেষ দিকে আলোচনায় নতুন মাত্রা দিয়েছে দলটি। জানা গেছে, বিএনপি থেকে নির্বাচিতরা প্রত্যেকেই শপথ নিতে চান। যদিও দলের একটি অংশ এখনও চায় নির্বাচিতরা শপথ না নিক। এমনকি নির্বাচিত এমপিদের শপথে স্বয়ং খালেদা জিয়া সম্মতি দিয়েছেন বলে বিএনপি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন নেতা বলেন, দলের নেতারা সঠিক সিদ্ধান্ত সব সময় নিতে পারছেন না। বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারছেন না। যারা দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের মধ্যেও বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে। ফলে করণীয় নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিতদের সংসদে যাওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। নির্বাচিতদের শপথের বিষয়ে তিনি সম্মতি দিয়েছেন।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদে যোগ দিতে শপথ নেওয়ার জন্য হাতে সময় আছে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ছয়জন এবার নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি পাঁচ প্রার্থী সম্প্রতি গুলশানে বিএনপির অফিসে মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করে শপথ, দল ও নেত্রীর মুক্তির বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। মহাসচিব তাদেরকে শপথ নিতে খালেদা জিয়ার সম্মতি বিষয়টি জানিয়েছেন।
বিএনপির দায়িত্বশীল দু’জন নেতা বলছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বা দলে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা এইসব ইস্যুতে কোনো সমাধান দিতে পারছেন না। তাই বিষয়টি বেগম জিয়ার পরামর্শ নেয়া হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে ইতিবাচক মত দিয়েছেন। কারাগারে থাকলেও শপথ কিংবা প্যারোলসহ নানা ইস্যুতে পর্দার অন্তরালে সমঝোতার চেষ্টা হলে সে ব্যাপারে মূল সংকেত খালেদা জিয়ার কাছ থেকেই আসে বলেও জানান তারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এ বিষয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, খালেদা জিয়াকে এখন রাজনীতি, দল, সংগঠনের স্বার্থে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, সংসদ অনেক বড় একটি বিষয়। সেখানে দলের পক্ষ থেকে কথা বলার লোক থাকা দরকার। সেখানে গিয়েই কথা বলতে হবে। শপথ নেওয়ার সময় প্রায় শেষ দিকে। নেত্রীও সম্মতি দিয়েছেন।