দলীয় সিদ্ধান্তকে মেনে এখনো শপথ নেননি একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। ৩০ শে এপ্রিলের মধ্যে শপথ না নিলে শূন্য ঘোষণা করা হতে পারে তাদের আসন। যার কারণে বিএনপির দেয়া সকল শর্তকে উপেক্ষা করে শপথ নিতে চাইছেন বিএনপি থেকে নির্বাচিত প্রার্থীরা।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি থেকে বিজয়ী নেতা জাহিদুর রহমান বলেন, আমি সহ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী বিএনপির সকল নেতাই মনে করেন, জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাদের মতের গুরুত্ব দিতে হবে। তাই আর দেরি না করে বিএনপির বিজয়ী সকল নেতাই শপথ নিতে আগ্রহী। যদিও প্রথমে আমরা সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানের উপর রাগ করেছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তারাই সঠিক ছিলেন।
এদিকে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিজয়ী নেতাদের এমন সিদ্ধান্তে নারাজ তারেক রহমান, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তারা বলছেন, শুধুমাত্র এমপি হবার লোভে পড়ে সরকারকে কোনো শর্ত না দিয়ে শপথ গ্রহণ করাটা বোকামি হবে। সে ক্ষেত্রে যদি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হয়, তবেই বিএনপি নেতাদের শপথ নেয়া উত্তম হবে।
বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বক্তব্যে প্রভাবিত হয়ে নিজের মত পাল্টে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী জাহিদুর রহমান বলেন, যেহেতু আমার নেত্রী জামিন পাওয়ার হকদার, তাই তাকে যদি জামিন দেয়া হয় তাহলে আমরা বিজয়ী ছয় জন সংসদে যেতে পারি বা যাবো।
এছাড়া নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি নেতা হারুন-অর-রশিদ জানান, খালেদা জিয়ার অনুমতি পেলে আমরা সংসদে যেতে পারি, তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তবে বিএনপির এমন শপথকে আমলেই নিচ্ছেন না আওয়ামী নেতারা। তারা বলছেন, বিএনপি নেতাদের শপথ গ্রহণের বিষয়টি একান্ত তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। শপথ গ্রহণের ব্যাপারটি নিয়ে দেন-দরবার করতে চাচ্ছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে শপথ গ্রহণের বিষয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আদালতের রায় অনুসারে খালেদা জিয়ার শাস্তি হয়েছে। যদি বিএনপি ধারণা করে থাকে শপথ গ্রহণের বিষয়কে কাজে লাগিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে, তবে সেটি হবে বিএনপির জন্য বড় বোকামি।