যৌক্তিক দাবী আদায়ের জন্য বহুল প্রচলিত ‘অনশন’ শব্দটিকে আবারো হাস্যকর হিসেবে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরলো বিএনপি। দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রোববার (৭ এপ্রিল) অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে গণ অনশন কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি নেতারা। অনশনটি বারো ঘণ্টা চলার কথা থাকলেও মাত্র ৫ ঘণ্টার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ নেতাদের ফ্রুটিকা পান করিয়ে এ অনশন ভাঙ্গান।
মির্জা ফখরুলের এমন তড়িঘড়িতে অনশন ভাঙ্গা নিয়ে নেতা-কর্মী ও জনসাধারণের মনে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। অনেকে বলছেন, বিএনপি দলের প্রধানের জন্য মাত্র ১২ ঘণ্টার অনশন ডেকে ৬ ঘণ্টাও থাকতে পারলো না। নেত্রীর প্রতি তাদের ভালোবাসা যে কত কম, তা নাম দেখানো এই কর্মসূচি প্রমাণ করলো।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির সংস্কারপন্থী নেতা সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল বলেন, বর্তমানে কেউ এখন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করে না। বিএনপি এখন কয়েক ভাগে বিভক্ত। কেউ ফখরুলপন্থী, বা আবার তারেকপন্থী। ফলে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকলেও দলের অনেক নেতার কিছু যায় আসে না। যার প্রমাণ বিএনপির এই রোববারের অনশন। সেই অনশনে আমি অনেক নেতাকেই কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে দেখেছি।
বিএনপির একাধিক জুনিয়র নেতা বলে, আমরা সকালে পেট পুরে খেয়ে এসেছি কারণ, জানতাম ম্যাডামের জন্য ১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হবে, কিন্তু সিনিয়র নেতাদের হয়তো ক্ষুধা বেশি লেগেছ তাই ছয় ঘণ্টার আগেই অনশন কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
দলের নীতিনির্ধারকদের একজন বলেন, বিএনপি যে কতোটা সাংগঠনিকভাবে দুর্বল- তা আরো একবার প্রমাণ হলো। মনে পড়ে গেলে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাাৱ কথা, সেদিনে হামলায় সব নেতাকর্মী শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল অথচ বিএনপি ৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকত পারলো না।