খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
রোববার (৩১ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এদিকে দুদুর এমন বক্তব্যে সমালোচনা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দেশের দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তেও বিএনপি যে দলীয় স্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝে না সেটি আবারও প্রমাণ হলো। যে দল বিগত এক দশকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি আন্দোলনও জমাতে পারেনি, সেই দল কোনদিনই আন্দোলন জমাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা। প্রতিদিন একই নালিশ ও দাবি শুনে শুনে দলটির নেতাকর্মীরা চরম হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
বিএনপির এমন নিত্য অভিযোগকে জাতি ও দলের সঙ্গে প্রতারণার অংশ হিসেবে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক। তিনি বলেন, বিএনপি ধরাশায়ী রাজনীতি নিয়ে কী বলবো? একটা দল প্রতিদিন অভিযোগ করে, কিন্তু মাঠে নামার সাহস দেখায় না। এগুলো তো রাজনীতিতে দেউলিয়াপনার লক্ষণ। খেয়াল করুন, দেশ অগ্নিকাণ্ডের মতো একটা দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো বাদ দিয়ে নিজেদের দাবি নিয়েই ব্যস্ত।
তিনি আরো বলেন, দলের বাইরের দাবিগুলোর সঙ্গে যদি বিএনপি একাত্মতা ঘোষণা করে মাঠে নামতো তবে জনসাধারণের সমর্থন পেত। কিন্তু বিএনপি জনগণের নার্ভ বুঝতে প্রতিবারই ভুল করে, আর প্রতিবারই খালি হাতে ঘরে ফিরে যায়। সম্ভবত দলটির নেতারা দলীয় ব্যর্থতাকে নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছেন। তাই তাদের কোনো বিকার নেই। না হলে কি দলের রাজনীতি এমন অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপি নেতা দুদু বলেন, অভিযোগ নিয়ে হাসির কিছু নেই। এটিও আন্দোলনের অংশ। রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমকে আপনি নির্দিষ্ট ধারায় আটকাতে পারবেন না। আমি অন্তত বিএনপিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি। অনেক নেতা তো বিএনপিকে নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। দল বাঁচলেই আমার মতো দুদুরা বেঁচে থাকবেন। আমি বিশ্বাস করি বিএনপি একদিন ঠিকই জেগে উঠবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সেদিনের অপেক্ষায় রয়েছি আমি।