রাজধানীর নর্দ্দায় সুপ্রভাত বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র নিহতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলো ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও।
তবে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামের আশ্বাসের পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার এক পর্যায়ে একটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করতে মহানগর উত্তর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এ বি এম এ রাজ্জাকের সমর্থকরা শিক্ষার্থী বেশে বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়। তবে, ঘটনাস্থলে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা আগুন নিভিয়ে দেয়।
এ প্রসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে সেখান থেকে এক জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তি বিএনপি নেতা এ বি এম এ রাজ্জাকের সমর্থক বলে নিজেকে দাবি করছে। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টির সঠিক তদন্তের পরই ঘটনার পেছনের ইন্ধন দাতাদের বিষয়ে জানা যাবে।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়ে দলের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও বিএনপিকে বদনাম করতে দলের কিছু কুচক্রী মহল সেই আন্দোলন নিয়ে অপরাজনীতি করার চেষ্টা করেছিল। তবে এবারের আন্দোলনে আমাদের কোনো রকম পরিকল্পনা নেই। আন্দোলনকে ঘিরে বিএনপিকে জড়িয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল।
এদিকে জানা গেছে, বাসে আগুন লাগানো ব্যক্তিটি নিজেকে শিক্ষার্থী দাবি করলেও তার বয়স নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ষড়যন্ত্র চলছে বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, এর আগেও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হলে বিএনপির একটি পক্ষ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার ছড়ায়। অভিনেত্রী নওশাবার লাইভ, বিএনপি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পেইজে ফেইক ভিডিও-ছবি আপলোড করা এবং সড়ক আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ দিতে বিএনপি নেতা আমির খসরুর ফোনালাপ ফাঁস তাই প্রমাণ করেছিলো।