বিগত সব নির্বাচনের ব্যর্থতা ভুলে দলকে শক্তিশালী করে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিএনপি। সেই পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে সারাদেশের উপজেলা, ইউনিয়ন, থানা ও ওয়ার্ডগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। জানা গেছে, এরইমধ্যে সে নির্দেশ জেলা পর্যায়ের নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
কিন্তু একাধিক পদবঞ্চিত এবং দলত্যাগী নেতারা মনে করছেন, মূলত জাতীয় নির্বাচনে আর্থিক টার্গেট পূরণ না হওয়ায় এবং বিভিন্ন কমিটি গঠনের নামে আগামী ৫ বছর বিদেশে আরাম-আয়েশে থাকার খরচ তুলে নিতে তারেক রহমানের নতুন কৌশল এটি। দলকে গোছানোর নামে দলীয় নেতাদের লুটেপুটে খাওয়ার জন্য লন্ডনে বসে একের পর ফন্দি আঁটেন তারেক রহমান। তাই আগামীতে কমিটির নামে মনোনয়ন বাণিজ্য থেকে সাবধান হতে সাধারণ নেতা-কর্মীদের আহ্বান করেছেন তারা।
সারা দেশের বিভিন্ন কমিটি দেয়ার নামে নতুন চাঁদাবাজির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি ছেড়ে বিকল্পধারায় যোগ দেয়া শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, বিএনপি নিঃসন্দেহে চাঁদাবাজদের দল। যে দল বিগত একযুগে কোন রকম সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি, সে দল আগামীতেও রাজনীতিতে কোন রকম চমক দেখাতে পারবে না। বিএনপির ভবিষ্যৎ অন্ধকার, তা বুঝতে পেরে হাজার হাজার কর্মী দলত্যাগ করছেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব দেন একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বিদেশে বসে যখনই অর্থের অভাব দেখা দেয় তখনই কমিটি দেয়া, আন্দোলনের ব্যবস্থা করার নামে হুংকার দিয়ে বিশাল অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন তারেক।
বিএনপি নেতারাও না বুঝে লন্ডনে অর্থলগ্নি করে প্রতিবারই ধোঁকা খান। এই যে কমিটির কথা বলা হচ্ছে, এগুলো নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতারণার অংশ মাত্র। কারণ দলটির নেতৃত্বের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমার চেয়ে ভালো কেউ জানে না। বিএনপি করতে গিয়ে অনেক নেতা-কর্মী এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। চাঁদাবাজির রাজনীতি থেকে বাঁচতে শোকরানার মতো অনেক প্রভাবশালী নেতারা বিদেশে পালাচ্ছেন। এগুলো বিএনপির রাজনৈতিক অধঃপতনের সাক্ষী।