শেষ হতে যাচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা-২০১৯। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে সরকারের কঠোর পদক্ষেপে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো অপতৎপরতা ছাড়াই শেষ হতে যাচ্ছে পরীক্ষা। সরকারের নির্দেশ মতো যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশংসা কুড়াচ্ছে সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রশ্ন ফাঁসের মত দীর্ঘদিনের সামাজিক ব্যাধি রোধ করতে সরকার বেশ কয়েকবছর আগে থেকে সোচ্চার হয়। সরকারের কঠোর পদক্ষেপে গত বছর থেকে তা কাজে আসতে শুরু করে। সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- যে যার অবস্থান থেকে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো গুজব ও তৎপরতা রোধে কঠোর অবস্থান নেয়। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা ছাড়াই সফলভাবে শেষ হয় গত বছরের পরীক্ষাগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষাকে প্রশ্ন ফাঁসমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকার। প্রশ্ন ফাঁসকারীদের অপতৎপরতা রুখতে নিয়মিত মনিটরিং করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন শাখা। মাঠ পর্যায়ের নজরদারিতে সারা দেশে চক্রের দেড় শতাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান বলেন, বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই প্রশ্নপত্র ফাঁস নামক সামাজিক ব্যাধি শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। সরকারের চলমান কার্যক্রমে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষের পথে। কঠোর পদক্ষেপের কারণে রক্ষা পেল আমাদের শিক্ষাখাত। তবে সমাজ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস, নকলের মতো সামাজিক ব্যাধিসমূহ পুরোপুরি নির্মূল করতে হলে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সোচ্চার হতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে পদক্ষেপ সেগুলো অব্যাহত রাখলে আর কেউ এমন অপতৎপরতায় জড়াতে সাহস পাবে না। আমাদের সকলের সচেতনতাই শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারে শিক্ষাব্যবস্থার বদনাম।
এসএসসি পরীক্ষাকে নির্বিঘ্ন ও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করতে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ডিজাইন, প্রশ্নপত্র বিতরণে ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহারসহ শিক্ষা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর নিয়মিত মনিটরিং করা হয়েছে। ফলে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে শতভাগ সফল হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সরকার। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে গ্রেফতার হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যরা। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে মাঠপর্যায়েও তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর ফলে জিরো টলারেন্স নীতিতে দূর হয়েছে বহু বছরের পুরনো প্রশ্নপত্র ফাঁস কলঙ্ক।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রকে হাতেনাতে গ্রেফতার করায় এ তৎপরতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে চক্রের সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতে, প্রতিটি বোর্ড পরীক্ষাতেই মাঠপর্যায়ে ছদ্মবেশে সক্রিয় থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।