একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিএনপি যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় মত্ত। ঠিক তখন ঐক্যফ্রন্টের দুই নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খানের শপথ গ্রহণের ঘটনায় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপির ফাটল স্পষ্ট হয়েছে সাধারণ মানুষের সামনে।
আর তাই গণফোরামের ওপর চাপ সৃষ্টি করে শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে ফেরানোর জন্য উপায় খুঁজছে বিএনপি।
এই ইস্যুতে স্কাইপের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেও কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না বিএনপি।
এদিকে, গুলশান সূত্র জানায়, গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান যদি শপথ নিয়ে শেষ পর্যন্ত সংসদে যোগ দেন সেক্ষেত্রে বিএনপির করণীয় কী হবে সে নিয়ে নেতারা আলোচনা করেছেন। তাছাড়া তাদের শপথ নেয়ার আগ্রহ যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে সেটা গণফোরামের দায়িত্বশীল নেতারা কীভাবে দেখছেন সেটাও পর্যালোচনা করা হয়েছে। তারা যাতে শপথ না নিতে পারেন সেক্ষেত্রে গণফোরামের ওপর কী ধরণের চাপ তৈরি করা যায় সে উপায় বের করার চেষ্টা করছে বিএনপি।
এনিয়ে সর্বশেষ ১২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রায় চার ঘণ্টার একটি বৈঠক করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া বৈঠক চলে রাত প্রায় সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিশদভাবে কিছুই বলতে চাননি দলের দায়িত্বশীলরা। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বলার মতো কিছু নাই।’ অন্যদিকে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সিদ্ধান্ত জানানো হলে তা দলের মহাসচিব জানাতেন।’
সূত্র বলছে, গণফোরামকে চাপে ফেলতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রাখতেই বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কিছু বলা হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী গণফোরামের দুই সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নেবেন না বলে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠালেও ব্যক্তিগতভাবে শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।