চলমান রয়েছে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা। নতুন বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাকে সফল করতে বিগত সময়ের তুলনায় আরও বেশি সচেতনতা অবলম্বন করছে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে চলমান পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যারা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে।
দেশে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় হলেই নড়েচড়ে বসে বেশ কিছু কুচক্রী মহল। যাদের টার্গেট থাকে ভুয়া প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে প্রশ্নসহ পুরো পরীক্ষাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে দেশের মেধা ধ্বংস করা এবং সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা। অল্প কিছু অর্থের বিনিময়ে তারা আকৃষ্ট করে আসছে পরীক্ষার্থীদেরকে। আর এতে পরীক্ষার্থীরা আকৃষ্ট হয়ে পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পেয়ে দেশকে মেধাশূন্য করে পিছিয়ে দিচ্ছে শত শত বছর।
তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে। ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার আগেই দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুরু করেছে তাদের অভিযান। এদিকে পরীক্ষা শুরুর আট দিনের মাথায় দেশের কোথাও এখনো শোনা যায়নি প্রশ্নফাঁসের কথা। ভুয়া প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার শেষ দিন পর্যন্ত চলবে প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে অভিযান।
এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকেই পরীক্ষায় যাতে কোনোভাবেই প্রশ্নফাঁস কিংবা ভুয়া প্রশ্ন ছড়াতে না পারে সেজন্য সাইবার দুনিয়ায় নজরদারি শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই অপতৎপরতা বন্ধে আন্ডারকাভার অপারেশন শুরু করেছে তারা। প্রশ্নফাঁস রোধে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই সাথে চলছে সাইবার পেট্রোলিং। এদিকে শত প্রলোভনের মধ্যেও অভিভাবক, ছাত্র ও শিক্ষকদের সযত্নে এ ধরণের অপকর্ম থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে।