একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে নির্বাচনের আগে ও পরে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’এর অর্থায়নে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশজুড়ে বেশ কিছু হামলা পরিচালনা করেছিল। যেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধূকে মারধরসহ মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, পুলিশ এমনকি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ওপরও রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা উল্ল্যেখযোগ্য।
সকল বাধা কাটিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয় পায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। গত ৩ জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দলটি নতুন সরকার গঠন করেছে।
তবে নব নির্বাচিত সরকারের মেয়াদের তিন সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই শেখ হাসিনা সরকারকে সরিয়ে দিতে বিএনপি দলটি মার্কিনিদের থেকে বড় অঙ্কের অর্থ সহায়তা নিচ্ছে বলে দাবি করেছে ভারতের গোয়েন্দারা।
ভারতের ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে যে, ‘আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব ও তাদের কর্মীদের হত্যা এবং বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের দিয়েই সৃষ্ট জন-অসন্তোষের মাধ্যমে বাংলাদেশে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ভয়াবহ পরিকল্পনা আটছে দলটি। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানও তাদের সার্বিক সহায়তা করছে বলেও জানায় গোয়েন্দারা।
সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন অধ্যুষিত এলাকা কাইয়ুকপিউতে চীনের বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ এবং বাংলাদেশের প্রস্তাবিত সোনাদিয়া বন্দরের ওপর নজর রাখতেই এই নৌ-ঘাঁটি স্থাপন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দেশের স্বার্থে শেখ হাসিনা সরকার সেটার অনুমতি দিচ্ছেনা।
ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জেনেছেন, দুর্নীতির দায়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে সাজাপ্রাপ্ত ও যুক্তরাজ্যে পলাতক আসামী তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বৈঠকও করেছেন। যেখানে প্রতিবেদনে জানা গেছে, মূলত ক্ষমতায় গেলে সেইন্টমার্টিন দ্বীপে নৌ-ঘাঁটি স্থাপনে অনুমতির প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বিএনপি-জামায়াতকে আর্থিক ও সার্বিক সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই বিএনপি ও জামায়াত নেতারা বাংলাদেশে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসছিল। তাদের এমন বক্তব্যের বরাবরই সমর্থন দিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, এমনটিই গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। যেখানে ভারতের ওই গোয়েন্দা সংস্থা থেকে দাবি করা হয়েছে মার্কিনিদের এই তৎপরতার সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও জড়িত রয়েছে। দাবিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে তাদের সমমনা মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোকে কয়েক মিলিয়ন ডলার এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলিম নামধারী সন্ত্রাসী দলগুলোর কাছে পাকিস্তান ও মার্কিন গোষ্ঠি সীমান্ত পথে গোপনে এসব টাকা পাঠাচ্ছে।