একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিএনপির নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি উত্থাপন করেছেন বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা- স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এবং খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গুঞ্জন উঠেছে, লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে অনাস্থা প্রকাশ করতেই শীর্ষ নেতারা নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছে। এমন দাবিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তারেক রহমান।
যদিও কোন কোন নেতা বলছেন, শুধু তারেক রহমান নয় বরং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবির মাধ্যমে।
সূত্র বলছে, নেতৃত্ব পরিবর্তনের গুঞ্জন বহুদিন আগে থেকেও বিএনপির অভ্যন্তরে গোপনে গোপনে উচ্চারিত হলেও এবার তা প্রকাশ হলো- স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এবং খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মাধ্যমে।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় দলের পুনর্গঠন ও পরিবর্তনের কথা বলেন তারা।
বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের দুর্বলতার দিকে ইঙ্গিত করে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘুরে দাঁড়াতে হলে দলকে পুনর্গঠন করতে হবে। অন্যদিকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের কথা উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর আমরা কাউন্সিল করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম এবং সারা দেশে আমাদের নেতা-কর্মীরা সাহসের সাথে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের পুনরায় জাগাতে হলে নেতৃত্বের পরিবর্তন আবশ্যক। নাম বললে বিষয়টি খারাপ হয়ে যায় তাই বলবো নিজেদের অপারগতার কথা ভেবে পদ ধরে রেখে দলকে অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিয়েন না। নিজ থেকেই সরে যান।
কেউ তারেক রহমান বা মির্জা ফখরুলসহ বয়োবৃদ্ধ অনেক নেতৃত্বে বিফল নেতার নাম সরাসরি উচ্চারণ না করলেও ইঙ্গিত সেদিকেই দিয়েছেন বলে দলের অভ্যন্তরে গুঞ্জন উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে তারেক রহমান আগামী ২৫ জানুয়ারি বিশেষ বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। ফলে ভিডিও কনফারেন্সের ওই বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তা নিয়ে দলের মধ্যে একটি ধোঁয়াশা এবং চাপা উত্তেজনাসহ শঙ্কা দানা বেঁধেছে।